কলকাতা: শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেই মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। বাংলাদেশে ফিরেছেন খালেদা-পুত্রও। বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানেই খালেদা জিয়ার ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। বহুদিবন পর তাঁর দলের কোনও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখলেন খালেদা জিয়া।  


কী বললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী:
এদিন তিনি বলেন, 'আমার কারাবন্দি অবস্থায় আপনারা আমার কারমুক্তি ও রোগমুক্তি জন্য সংগ্রাম ও প্রার্থনা করেছেন। তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী-অবৈধ সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছি।'


এই আন্দোলনে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলছেন, 'দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ধ্বংসের স্তূপের মধ্যে থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।  ছাত্র-তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাঁরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মেধা-যোগ্যতা-জ্ঞানভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক গড়ে তুলতে হবে। সকল ধর্মের-গোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শান্তি-প্রগতি ও সাম্যের ভিত্তিতে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি। ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি।'


শেখ হাসিনার আমলে দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া। দুর্নীতির মামলায় জেলযাত্রা হয়েছিল তাঁর। পরে জেল থেকে বেরোলেও ঘরে পুরোপুরি গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। কিছুদিন অন্তর অন্তরই তাঁর গৃহবন্দি দশার মেয়াদ বাড়িয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার।  


খালেদা জিয়ার পুত্র তারিক রহমানও হিংসার থেকে দূরে থাকার ডাক দিয়েছেন। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক-যে কোনও কারণেই হোক কোনও রকম হিংসা ঘটানোর থেকে বিরত থাকার জন্য ডাক দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যাতে কোনওরকম ভাবে আক্রান্ত না হয় তার জন্য ডাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর ডাক, 'কেউ সংখ্যালঘু নয়, আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা বাংলাদেশি।' 


 






আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।         


আরও পড়ুন: শনির সাড়েসাতির প্যাঁচে পড়বে এই রাশি! দুঃসহ ভোগান্তি, প্রবল অর্থভাব এড়াতে থাকুন সাবধানে