কলকাতা: বাংলাদেশে অশান্তি চলছেই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ এবং বাংলাদেশ ছাড়ার পর দু'দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে অশান্তি, নৈরাজ্য মৃত্যুমিছিল এখনও থামার কোনও লক্ষণ নেই। এখনও জ্বলছে আগুন। এখনও অশান্ত-অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ।
হাসিনার দলের নেতাদের বেছে বেছে বাড়িতে ভাঙচুর-খুন। সংখ্যাঘুদের ওপর অত্যাচার, থামছে না কিছুই। সংসদ থেকে আওয়ামি লিগ নেতা সমর্থকদের বাড়ি, থানা এমনকী হাসপাতাল , উন্মত্ত জনতার রোষে ভাঙচুর চলছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সগুলিতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে, এমন খবরও পাওয়া যায় বেশ কিছু সংবাদসংস্থা সূত্রে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ১১০টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেক ৭ অগাস্ট ২০২১ এ ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় পড়শি দেশে। বাংলাদেশ সফরকালে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহারের ঘোষণা করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশনের সুবিধাও রয়েছে। এই উপহার ছিল বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যে জনবল, জ্বালানি তেলের অভাবে ভারতের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্স অব্যবহৃত থেকে গিয়েছিল খুলনায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ২০২১ এই ভারত থেকে পাঠানো একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা হাসপাতালে অব্যবহৃতই থেকে যায়।
এদিকে সেনার অধীনেও নৈরাজ্য বহাল বাংলাদেশে। এবার কুষ্টিয়ায় জেল ভেঙে পালাল অন্তত ৫০ জন বন্দি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলল গুলি। তবে অস্ত্র লুঠ হয়নি বলে দাবি জেল কর্তৃপক্ষের। ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় চলছে লুঠতরাজ। লুঠপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক বাড়িতে। এবার নিশানা করা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমকেও। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের দফতরে। মারধর করা হচ্ছে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের। ময়মনসিংহর জাদুঘরেও ভাঙচুর।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে নোট বাতিলের আশঙ্কা? কমল টাকার দাম, ভারতের ১০০ টাকায় বাংলাদেশি টাকা কত মিলবে?
হত্যাপুরী বাংলাদেশে লাশের সারি, হিংসার ক্ষত পদ্মাপারে। কোথাও সেতু থেকে ঝুলছে মৃতদেহ, কোথাও হোটেলেই পুড়িয়ে খুন। ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে আরও ২১টি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ পুলিশ কর্মী। ৩ দিনে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে ৬৯টি মৃতদেহ। উত্তরা পূর্ব থানায় হামলার ঘটনায় নতুন করে ১৩ জনের দেহ উদ্ধার। সোমবারের হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩। অশান্ত বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, অন্তত ১৪জনের মৃত্যু।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে