ইম্ফল: হিংসাদীর্ণ বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হল মণিপুরেও। অসম সীমানা বরাবর এলাকায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। পড়শি রাজ্য অসম সীমানা লাগোয়া ফেরজল এবং জিরিবামে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডেপুটি কমিশনারকে। রাজ্যের সর্বত্র নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে নজরদারি। (India-Bangladesh Border)
মণিপুর স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব জানান, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে দলে দলে লোকজন সীমান্ত লাগোয়া এলাকা হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন। তাই নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশিকায় বলা হয়, "বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে আগে থেকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।" (Bangladesh Unrest)
সীমানার নিরাপত্তা জোরদার করতে জেলা পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে ২৪ ঘণ্টা সীমান্তে মোতায়েন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সীমান্তে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার উল্লেখও করেছে মণিপুর সরকার। কোথাও কোনও গাফিলতি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে আগেভাগেই।
মায়ানমারের সঙ্গে মণিপুরের ৩৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত না থাকলেও, অসমের দক্ষিণ অংশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে মণিপুরের। তাই বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত টপকে অসম হয়ে মণিপুরেও অনুপ্রবেশকারীরা আশ্রয় নিতে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই সীমান্ত এবং সীমানা এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে বলা হয়েছে।
মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সোমবার রাতেই সেখানে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হয়। মেঘালয়ের উপ মুখ্যমন্ত্রী প্রিস্টোন টিনসং জানান, জিরো লাইন থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় কার্ফু জারি থাকবে। সেখানে যাতায়াত করতে পারবেন না সাধারণ মানুষজন। পাশাপাশি, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া প্রহরায় থাকবেন বলেও জানান তিনি।
মণিপুর এবং মেঘালয়ের পাশাপাশি, অসম, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা সরকারও সীমান্ত এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। অসমের চার জেলা, করিমগঞ্জ, কাছার, ধুবরি এবং দক্ষিণ সালমারা-মানকাছারে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। ওই চার জেলাতেই বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। মিজোরামের লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংতে-তেও সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ত্রিপুরাও একই পন্থা নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিপি, বিএসএফ এবং অসম রাইফেলসের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলছেন তিনি।