ঢাকা: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ২০০-র বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। হিংসা, রক্তপাত ঘটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই নিয়ে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার এবং তাঁর দল আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে কাঠগড়ায় তোলা হলেও, সরকারের তরফে এর নেপথ্যে বিএনপি এবং জামাত-ই-ইসলামির ইন্ধন রয়েছে বলে বার বার দাবি করা হচ্ছে। সেই আবহেই এবার জামাতকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করল বাংলাদেশ সরকার। (Jamaat-e-Islami) যদিও তাদের এই সিদ্ধান্তকে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। 


মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছেন হাসিনা সরকারের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবারের মধ্যে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান আনিসুল। এ নিয়ে সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান। জামাত এবং তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশি ইসলামি ছাত্রশিবির, দু'টিকেই নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। (Sheikh Hasina)


বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, জোট সরকারের ১৪টি দলের তরফে জামাতকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জমা পড়েছিল। সেই নিয়ে আলাপ-আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ২০১৮ সালে হাইকোর্টের একটি রায়ে জামাতকে কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ওই সংগঠনের নাম নির্বাচনী তালিকা থেকে বাদ দেয়। 


আরও পড়ুন: India-China Conflict: পর পর সাজানো বাতিস্তম্ভ, চলছে গাড়িঘোড়া, প্যাংগং হ্রদের উপর ৪০০ মিটার সেতু ব্যবহারও করছে চিন


তবে ছাত্র আন্দোলন সহিংস হওয়ার জন্য সরকার জামাতকে কাঠগড়ায় তুললে, আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়েছেন, জামাত নয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তোলে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনই। আর তাতে মদত জোগায় পুলিশ, সেনা। আন্তর্জাতিক মহল যখন  নিয়ে সরব হয়েছে, সেই আবহে জামাতে ঘাড়ে সরকার দায় ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। 


যদিও হাসিনা সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড়। সোমবার হাসিনার বাসভবনে জোটের বৈঠক হয়। সেখানেই জামাতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানান সকলে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা খোদ হিংসা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জামাতের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। গোয়েন্দা রিপোর্টও তুলে ধরা হয় বৈঠকে, যাতে উল্লেখ ছিল, আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তুলতে বিভিন্ন জেলা থেকে একমাস ধরে জামাতের লোকজনকে জড়ো করা হয় ঢাকায়। কিন্তু সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, নিজেদের গা বাঁচাতেই এখন জামাতের ঘাড়ে সব দোষ চাপানো হচ্ছে।