নয়াদিল্লি: অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে তৎপর দিল্লি। এবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল তারা। যাঁরা না থাকলেও কাজ চলবে, ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে কর্মরত এমন ১৯০ জন কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনকে ফিরিয়ে আনা হল দিল্লিতে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান AI1128-এ চাপিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সকলকে। তবে ভারতীয় কূটনীতিকরা এখনও বাংলাদেশে রয়েছেন। তাঁরা আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। (Bangladesh Situation)
দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ২০-৩০ জন সিনিয়র কর্মীকে রেখে দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় হাই কমিশন ছাড়াও চিটাগং, রাজশাহি, খুলনা এবং সিলেটে অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশন রয়েছে ভারতের। এর আগে, মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। (Bangladesh Mass Protests)
সংসদে জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। কূটনৈতিক স্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে দিল্লির। তবে বাংলাদেশ জুড়ে অশান্তির পরিবেশ। সেখানে আটকে রয়েছেন ১০ হাজার ভারতীয়। হিংসাদীর্ণ বাংলাদেশ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, যেভাবে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে হামলা বাড়ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাতেও উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লির। সীমান্তের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে।
আপাতত নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। পাশাপাশি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কয়েক জনের নাম প্রস্তাব করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত অচলাবস্থা জারি রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও সরকার গঠিত হয়নি বাংলাদেশে।
প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক রদবদলও ঘটছে বাংলাদেশে। পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদলের পর RAB প্রধান এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারকেও পদ থেকে সরানো হয়েছে। মহম্মদ হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে RAB-এর প্রধান করা হয়েছে একে এম শহিদুর রহমানকে। এতদিন পুলিশ সদর দফতরে ছিলেন শহিদুর। অন্য দিকে, হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে মহম্মদ মইনুস হাসানকে।