ঢাকা: আত্মনির্ভর বাংলাদেশের পথে আরও এক ধাপ। এবার দেশীয় প্রযুক্তির ওপর ভর করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প আনছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ পলক।
ফেসবুকের বিকল্প হিসাবে নিয়ে আসা হচ্ছে 'যোগাযোগ' প্লাটফর্ম। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে 'আলাপন' অ্যাপের কথা ভাবছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাস (উই) আয়োজিত একটি মাস্টারক্লাসের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন জুনেইদ। তিনি জানান, কেবল ফেসবুক বা জুমের বিকল্প নয়, নিজস্ব যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসাবে 'আলাপন' প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এই যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্যোগপতিরা নিজেদের অনলাইন বাজার ও গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের বিদেশ নির্ভর হতে হবে না। এই প্লাটফর্ম থেকেই তথ্য পেয়ে যাবেন তাঁরা। সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে সবার সঙ্গে। পলক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশে জুম অ্যাপের বিকল্প তৈরি করছেন তাঁরা। 'বৈঠক' অ্যাপ নাম দেওয়া হয়েছে সেই বিকল্প প্লাটফর্মের। কোভিডকালে ভ্যাক্সিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে 'সুরক্ষা' অ্যাপ।
২০১৮ সালের দেশের ডিজিটাল ও ই-কমার্স নীতি অনুযায়ী- ই-কমার্স, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও বিপিও মিলিয়ে মোট ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের টার্গেট নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করতে চাইছে সরকার। দেশের আর্থিক উন্নয়নের জন্য নজর দেওয়া হয়েছে রফতানির ক্ষেত্রেও। মন্ত্রীর আশা, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে রফতানি বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করবে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশ প্রথম নয়। বিশ্বে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াও জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের বিকল্প এনেছে বহু দেশ। দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে নিজের ভাষায় অ্যাপ। এই পরিকল্পনায় পথ দেখিয়েছে চিন, জাপান। ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ। তবে হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি আপডেট নিয়ে সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বেঁধেছে কোম্পানির।পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে দুই পক্ষকে।