গণবিদ্রোহের মুখে দেশে ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এখন তাঁর সরকারের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আওয়ামি লিগের সাংসদদের খুঁজছেন সেনাশাসিত বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। ঢাকা টাইমস সূত্রে খবর, অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির তোড়জোড়ের মধ্যেই হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামি লিগের সাংসদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন গোয়েন্দারা।
গত কয়েকদিন ধরেই আওয়ামি লিগের সদস্যদের বাড়ি-ঘর-পরিবারের উপর বর্বরোচিত অত্যাচার, খুনের খবর সামনে আসছিল। আর এবার সরাসরি আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে গোয়েন্দারা। চলছে কড়া নজরদারি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠ, দলের মন্ত্রীদের ওপর প্রতিহিংসার বিস্ফোরণ ঘটেছে পদ্মাপারের দেশে। আওয়ামি লিগের নেতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে সোমবার থেকে ২৯ জন খুন হয়েছেন বাংলাদেশে।
ঢাকা টাইমস সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে গা ঢাকা দিয়েছেন পূর্বতন হাসিনা সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামি লিগের সাংসদরা। তাঁদের অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলেও খবর। ওই সব প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদদের পাশাপাশি একাধিক পুলিশকর্তাও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যেই দেশ ছেড়েছেন হাসিনার মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী। দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। দেশ ত্যাগ করেছেন হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, সমবায়মন্ত্রীও। ইতিমধ্যেই হাসিনার মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে আক্রোশের মুখে পড়ে গিয়েছেন তাদের অনুগামী, সমর্থকরা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশে অশান্তি আর হিংসার স্রোত অব্যাহত। সেনাপ্রধানের আশ্বাস সত্ত্বেও, থামছে না হামলা, ভাঙচুর আর তাণ্ডবের মতো ঘটনা। প্রথম আলো সূত্রে খবর, গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আগুন লাগিয়ে দেন বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা। ঢাকা আইনজীবী সমিতির নূল প্রবেশদ্বারের কাছে বঙ্গবন্ধু কর্নারেও ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু কর্নারে রাখা বইপত্রে। পুড়িয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি। প্রথম আলো সূত্রে খবর, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওনের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় তাণ্ডবকারীরা।
এরই মধ্যে অশান্ত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে । ছাত্রদের দাবি মেনে প্রধান হচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত হবে বাকি নাম।