কলকাতা: এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভির। বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর দাবিকে কটাক্ষ। 'মমতাকে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবতাম, কিন্তু উনি কট্টরপন্থী', আক্রমণ বিএনপি নেতার।
কী কী বলেছেন রিজভি?
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিএনপি নেতা বলেন, 'ভারতের জনগণের সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই। তাঁদের কিছু নেতা বিরূপ মন্তব্য করে চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ছিল। ভেবেছিলাম তিনি ধর্মনিরপেক্ষ। তিনি সব ধর্মকে সমান চোখে দেখেন, এটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু তিনিও বললেন বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর দরকার। আসলে তাঁর মধ্যেও কট্টর হিন্দুত্ববাদ আছে। আজ এটা প্রমাণিত।
কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
'কোনও ভারতীয়ের উপর অত্যাচার হোক, এটা নিশ্চয়ই চাই না। ভারত সরকার বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জে উত্থাপন করুক, যাতে তারা শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাতে পারে, বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য'। ২ ডিসেম্বর বিধানসভায় বলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এদিকে মমতাকে তোপ দেগেছেন ইউনূস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'আমার মনে নয় ওঁর দেশেই শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রয়োজন। ওইজন্যই মনে হয় উনি বলছেন, ওনার দেশের জন্যই বোধহয়, আমাদেরটা ভুলে উনি বলে ফেলেছেন বাংলাদেশের কথা।'
আরও পড়ুন, 'নৌঘাঁটির বিমান একটা পাঠালেই মুখ শুকিয়ে যাবে', শুভেন্দুর চরম হুঁশিয়ারি
অন্যদিকে, শুধু বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তারা নয়, এবার যুদ্ধজিগির BNP নেতার। এবার বাংলা-বিহার-ওড়িশা দাবি করলেন BNP-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি। BNP নেতার দাবি, বাংলাদেশ নাকি সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। জল-স্থল-আকাশপথে দিল্লিকে রুখতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, দাবি রুহুল কবীর রিজভি-র। বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগের দিন ফের উস্কানি দেন BNP নেতা। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, বিশ্বের ১২টি নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারে বাংলাদেশ রয়েছে দশম স্থানে। এমনকী, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারেও বাংলাদেশ সবার চেয়ে পিছিয়ে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে