নয়াদিল্লি: এখনও বাংলাদেশের জেলে বন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এপ্রিলে ভোট হলে, যারা হিন্দুদের সাম্যর কথা বলবে, তাদেরই ভোট। এমনই বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশের সনাতনী ঐক্যমঞ্চের সদস্য কুশলবরণ চক্রবর্তী। 

Continues below advertisement



আরও পড়ুন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৬ কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু ! বাংলায় আক্রান্ত হলেন কত জন ?


কুশলবরণ চক্রবর্তী বলেন, তাঁকে (সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস) নতুন করে যে আরও ৫ টি মামলায় অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে, বা ওর সাথে যুক্ত করা হয়েছে।এটা একদম ঠিক হয়নি। এবং আমি মনে করি, এগুলি যেকোনও মানুষই জানে, এটা একটা মিথ্যে মামলা। এবিষয়গুলি নিয়ে আমি মনে করি আমাদের কথা বলা উচিত। প্রতিবাদ করা উচিত। এটা ঠিক না। ..ওনার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। এই ইস্যুটা সংখ্যালঘুদের মনে বিশাল একটা বিষাদ বা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়ে আছে। বৈষম্য বিলোপ করার জন্য আমাদের  যে ৮ দফা দাবি, এই চিন্ময় বাবুর মুক্তি, এই ইস্যুগুলি নিয়ে যারা কথা বলবে, বাংলাদেশের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় আমরা তাঁকেই ভোট দেব। তার পাশেই থাকব। তার পক্ষ হয়েই আমরা প্রচার করব।'


 প্রসঙ্গত, গত ১০ মে বাংলাদেশে ব্যান করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগ। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তবর্তী সরকারের একটি বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি ভারত-পাক উত্তেজনার মধ্যে  স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে বাংলাদেশের কথাও। কারণ শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা হাসিনার সরকারের সময়কালে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কারও অজানা নয়। কিন্তু আচমকা হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেদেশে টানা অশান্তি চলেছে। সেই সঙ্গে চলেছে হিন্দু নিধন। জঙ্গি ইস্যু নিয়েও আশঙ্কা বেড়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিন্ন করতে মরিয়া সেদেশের এতদিন ধরে চলে আসা বিরোধী দল।


স্বাভাবিকভাবেই বিদেশমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে উঠে এসেছিল উদ্বেগ। ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী ? স্পষ্ট করেছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।  বলেন, 'আওয়ামী লিগের উপর যে ব্যান পড়েছে, তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। একে তো গণতান্ত্রিক দেশে একটা নিয়ম রয়েছে। সেই সমস্ত প্রক্রিয়াই এখানে লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেখানে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক গতিবিধি কমে গিয়েছে। এটা নিয়ে চিন্তিত ভারত। আমাদের এটাই আহ্বান যে, বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব একটা নিরপেক্ষ, সর্বশ্রেষ্ঠ ভোট করা হোক।'