বাঁকুড়া: স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরসা মুণ্ডাকে নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। বাঁকুড়ায় মূর্তিতে মাল্যদান ঘিরে আদিবাসীদের একাংশের নিশানায় অমিত শাহ। বীরসা মুণ্ডাকে অপমান করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এই অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার চিঠি পাঠাচ্ছেন আদিবাসীদের একাংশ, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।
গত ৬ নভেম্বর, বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে আদিবাসী মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে সফর শুরু করেন শাহ। বিতর্ক সেখানেই। আদিবাসী সমাজের একাংশের অভিযোগ, বীরসা মুণ্ডা ভেবে শিকারির মূর্তিতে মালা দিয়ে, তা নিয়ে প্রচার চালানো অপমানজনক। বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ার বাসিন্দা ঈশ্বরচন্দ্র মুর্মু বলেন, বিরসা মুণ্ডা আমাদের আরাধ্য দেবতা, ৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে শিকারির মূর্তিতে মাল্যদান করেন, এতে আমাদের দেবতার অপমান করা হয়েছে, অন্যায় কাজ করেছেন, সেজন্য ক্ষমা চাওয়ার আর্জি জানাব। ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা থেকে ৫০ হাজার চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে।
এদিকে বাঁকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানান, পঞ্চাশ হাজার পোস্টকার্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে যাবে, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে, বিভিন্ন জায়গায় চিঠি লেখা শুরু হচ্ছে, এরা বাংলার সংস্কৃতিকে জানে না, বিরসা মুণ্ডাকে নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। পাল্টা জেলার বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের অভিযোগ, ভগবান বীরসা মুণ্ডাকে নিয়ে ওরা রাজনীতি করছে, চিঠির ভাঁওতাবাজিতে আদিবাসী সমাজ পা দেবে না, তৃণমূল কাউকে আদিবাসী নাম দিয়ে করাচ্ছে, বীরসা মুণ্ডাকে ওরাই অপমান করছে।
মূর্তি বিতর্কের মধ্যে বাঁকুড়ার পুয়াবাগানেই বীরসার মূর্তি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। তারই মধ্যে অমিত শাহ-কে চিঠি পাঠানো নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।