নয়াদিল্লি: সংসদের অন্দরে এবং বাইরে, সমান জনপ্রিয়তা ছিল মা সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj)। মায়ের দেখানো পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়ে। তাতে এবার বড় দায়িত্ব পাতে পেলেন তিনি। দিল্লিতে বাঁশুরী স্বরাজকে (Bansuri Swaraj) দলের সচিব নিযুক্ত করল বিজেপি (BJP)। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মদনলাল খুরানার ছেলে হরিশ খুরানাকেও সচিব নিযুক্ত করা হয়ছে। এতদিন দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। 


২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি-র অন্দরে চরম তৎপরতা শুরু হয়েছে। সাংগঠনিক রদবদলও ঘটানো হচ্ছে সেই লক্ষ্যেই। এরই আওতায় মঙ্গলবার বাঁশুরীকে দিল্লিতে দলের সচিব নিযুক্ত করেছে বিজেপি। দলের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বাঁশুরীর নিযুক্তির কথা জানানো হয়। এর আগে, মার্চ মাসে, দিল্লিতে বিজেপি-র লিগাল সেলের সহ-আহ্বায়কও নিযুক্ত করা হয় বাঁশুরীকে। 


দিল্লিতে বিজেপি-র সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব বাঁশুরীকে নিয়োগ করেছেন বলে খবর। বাঁশুরীকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, "রাজ্য বিজেপি-র সংগঠনে মহিলারা গুরুত্ব পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি তুলে ধরবেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপি-কে এঁরা আরও সমৃদ্ধ করবেন আশা করি।"


আরও পড়ুন: No Trust Motion: নীরবতা ভাঙানোই ছিল লক্ষ্য! বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে শুরু হচ্ছে আলোচনা, লোকসভায় জবাব দেবেন মোদি


রাজনীতির পাশাপাশি, আইনজীবী হিসেবেও কর্মরত বাঁশুরী। হরিয়ানায় অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে কর্মরত তিনিষ প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করেন। বিজেপি-র এক নেতার কথায়, "লিগাল সেলের সহ-আহ্বায়ক হিসেবে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় বাঁশুরী। এবার থেকে রোজকার দলের কর্মসূচিরও অংশ হবেন তিনি। তবে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন কিনা, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই ঠিক করবেন।"


গত বেশ কয়েক দিন ধরেই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন। মণিপুর হিংসা নিয়ে বিরোধীরা যখন লাগাতার কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছেন, সেই সময়, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যের রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতন চলছে বলে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন বাঁশুরী। এক আবেদনকারীর আইনজীবী হিসেবে শীর্ষ আদালতে বাঁশুরী বলেন, "আদালত মণিপুরে যেভাবে তদন্ত করানোর পক্ষে সওয়াল করছে, একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং কেরলের কথাও বলতে পারে। সেখানেও এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। সেখানেও তদন্ত হওয়া উচিত।"


কিন্তু বাঁশুরীর এই মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মণিপুরের সঙ্গে অন্য কোনও রাজ্যের তুলনা চলে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। জানান, মণিপুরের ঘটনা বেনজির, একপ্রকার সাম্প্রদায়িক, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ, ঘৃণার উদ্রেক ঘটেছে। বাঁশুরীর দাবিকে খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।