উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক (Dengue)। এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা  গতবারের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। শহরের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামের মানুষরা। সবথেকে খারাপ অবস্থা আমডাঙা ব্লকের। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা ব্লকের মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তালা ঝুলতে দেখে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান আমডাঙার বিডিও সৌমেন বণিক। কিন্তু তাঁর মন্তব্যের পর কার্যতই ক্ষোভের আগুনে ফেঁটে পড়ল গ্রামবাসীরা। 


মূলত ঘটনাস্থলে গিয়ে আমডাঙার বিডিও সৌমেন বণিক, জ্বরে আক্রান্তদের গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।তবে স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। যদিও গত মাসের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে হাজার ছুঁইছুঁই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,' নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় বেশি। ডেঙ্গি আবার ট্রেন্ড, কোনও বছর কম হয়, কোনও বছর বেশি। আমরা জোর দিয়েছি, কিন্তু পঞ্চায়েতে এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। ফলে কাজ করতে পারছে না, নিজের নিজের এলাকায় নজর রাখুন', বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  


প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে খাস কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে বিল দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। একেতো প্রথমে ভর্তি না নেওয়া, তার উপর ভর্তি নিলে মোটা বিলের অঙ্ক গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি মৃত্যুর পরেও দেহ আটকে রেখে বিল দুর্নীতির মতো অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। তবে সেসময় রাজ্য সরকারের তরফে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। করা হয়েছিল, জরিমানা। যদিও এই মুহূর্তে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু মাথা চাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি। কোভিডের মতো ভয়াবহভাবে ছড়ায়নি এরোগ। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্তর হওয়ার পর সজাগ না হলে, পুরোপুরোই বিপদ ডেকে আনা হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।  


আরও পড়ুন, 'তৃণমূলে ১০০-র বেশি ভুয়ো সার্টিফিকেটে প্রার্থী..', তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর


অপরদিকে,  ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেছেন,'ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মন্তব্য রীতিমত উদ্বেগজনক। বোঝা যাচ্ছে না ওনারা এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন কেন ? বিষয়টিকে লঘু করার জন্য নাকি নিজেদের অপদার্থতা, প্রস্তুতিহীনতা ঢাকতে ?',প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হয়তো বিএসএফ-এর ঘাড়ে দোষ ঠেলে দেওয়া। কেন বিএসফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মশার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না ? পঞ্চায়েত বোর্ডে গঠন না হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতর কাজ করতে পারছে না এটা বিস্ময়কর।'