আমদাবাদ: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও পুরুষতন্ত্রের নির্মম চিত্র। কী পোশাক পরবেন মহিলারা, কীভাবে পরবেন, তার উপর আধিপত্য কায়েম করার প্রবণতা এখনও আছে এদেশে। তার প্রমাণ পাওয়া গেল আমদাবাদের ঘটনায়।


৩৭ বছর বয়সি মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই মহিলার অপরাধ তিনি জিন্স পরেছিলেন। আর এই ঘটনায় ফের শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য।

গুজরাতের আমদাবাদের ফাতেহওয়াদি অঞ্চলের বাসিন্দা শাহিবা (নাম পরিবর্তন)। ২০১৭ সালে জাহিদের (নাম পরিবর্তন) সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এটা শাহিবার দ্বিতীয় এবং জাহিদের তৃতীয় বিয়ে।

বিয়ের আগে কল সেন্টারে কাজ করতেন শাহিবা। দুটি শর্তে জাহিদকে বিয়ে করতে রাজি হন শাহিবা। এক, তিনি চাকরি ছাড়বেন না। দুই, বিয়ের পর তাঁরা বাবা মায়ের মঙ্গে থাকবেন না।

বিয়ের পর ফাতেহওয়াদিতে নতুন বাড়িতে থাকতে শুরু করেন দুজনে। কিন্তু বিয়ের একমাস পর থেকেই দুজনের মধ্যে সমস্যা হতে শুরু করে।
শাহিবার অভিযোগ, জিন্স পরার অপরাধে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। চাকরি ছাড়ার জন্য তার উপর অত্যাচার করা হয়। তাঁর অভিযোগ, এই বিষয়ে জাহিদের পরিবারকে জানানো হলেও তাঁরা মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

শাহিবা জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের জানালে তাঁরা বলেন, আমরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাস করি। এখানে স্বামীর কথাই শেষ কথা। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।

শাহিবার অভিযোগ, তাঁর স্বামী জামাকাপড় পরা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নীতি পুলিশি করে থাকেন। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর কী পরা উচিত, কী করা উচিত তার উপর আধিপত্য কায়েম করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে।

এই ঘটনায় সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। পুরুষতন্ত্রের নামে মহিলার উপর অত্যাচার নিয়ে ইতিমধ্যে নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল।