নয়াদিল্লি: আমেরিকা, কানাডা নিয়ে খবর হয়েছে হালফিলে। তার ঢের আগেই নাকি ভারতের আকাশে দেখা গিয়েছিল রহস্যময় বস্তুকে! ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমেরিকার আকাশে যে বৃহদাকার বেলুন দেখা গিয়েছিল, ভারতের আকাশে তেমনই একটি বস্তু দেখা গিয়েছিল (Unidentified Flying Object)। এতদিন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও, আমেরিকা এবং কানাডায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে ভারতকে (Indian Costal Chain)।


ভারতের আকাশেও উদয় হয়েছিল রহস্যময় উড়ন্ত বস্তুর!


ভারতের আকাশে যে সময় ওই রহস্যময় বস্তু উদয় হয়েছিল, সেই সময় তার সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না কারও কাছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপুঞ্জের মানুষ জন সমুদ্র উপকূল থেকে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সময় বিষয়টি নিয়ে হইচইও হয়েছিল বিস্তর। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কানেও সেই খবর পৌঁছয়। 


বঙ্গোপসাগরের বুকে মালাক্কা প্রণালীর কাছে, যে এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত, ওই এলাকাটি আকারে খানিকটা বোতলের উপরিভাগের মতো। ওই পথ দিয়ে চিন এবং উত্তর এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পণ্য সরবরাহ করা হয়। ওই এলাকার আকাশেই এক বছর আগে রহস্যময় উড়ন্ত বস্তুটি চোখে পড়ে বলে জানা যায়। সেই সময় সাময়িক হইচই হলেও, ধামাচাপা পড়ে যায় বিষয়টি। 


আরও পড়ুন: Yogi attacks Akhilesh : 'নিজের বাবাকেই সম্মান জানাতে পারনেনি', যোগীর নিশানায় অখিলেশ


কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকা এবং কানাডার আকাশেও ওই ধরনের উড়ন্ত বস্তু চোখে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনের মতো ওই বস্তুটিকে  নামায় আমেরিকা। নজরদারি চালাতে চিনের তরফেি সেটি পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করে তারা। সেই ঘটনার পর এক বছর আগের ঘটনাবলী নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসছে ভারতও। ওই ধরনের বস্তুকে আকাশসীমায় ঢোকা থেকে কী ভাবে রোখা যায়, বা কোনও রকমে ঢুকে পড়লেও, চটজলদি তা শনাক্ত করা যায় কী ভাবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।


সম্প্রতি আমেরিকা এবং কানাডার আকাশেও ওই ধরনের উড়ন্ত বস্তু চোখে পড়ে


তবে আমেরিকার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নয়, যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংযুক্ত মেশিন গান থেকে গুলি ছুড়ে এমন বস্তুকে নামানোর পক্ষপাতী ভারত। দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে, আচমকাই ভারতীয় উপকূলের আকাশে উদয় হয় ওই বস্তু। একের পর এক রেডার পেরিয়ে এগিয়ে যায় সেটি। তবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, দক্ষিণ-পশ্চিমে মিলিয়ে যায় ওই বস্তু। তবে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ হইচইয়ে নারাজ ভারত। কারণ, এ বছরই জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে ভারতে। তাই এই সময় কোনও রকম কূটনৈতিক সংঘাতে যেতে রাজি নয় দিল্লি।