প্রকাশ সিন্হা, হিন্দোল দে, ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা : হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়, গোপাল দলপতি। এই মুহূর্তে শিরোনামে দুইজনের নাম। একদিকে যখন পরিবার দাবি করছে, তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তখনই আবার জানা যাচ্ছে, তাঁরা একসঙ্গেই থাকতেন। তাহলে কার দাবি সত্যি ?
শুক্রবার হৈমন্তীর মা দাবি করেন, গোপাল দলপতির সঙ্গে মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে অনেক বছর আগে। কিন্তু, বেহালার ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা দাবি করছেন, জানুয়ারিতেও দেখা গিয়েছিল দু-জনকে। এমনকী জানুয়ারি পর্যন্ত, গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নমিনি ছিলেন হৈমন্তী। দু-জনের নামে সংস্থাও আছে।
হৈমন্তীর মা দাবি করছেন, গোপাল দলপতির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হলেও, পরে ডিভোর্স হয়ে গেছে। কিন্তু, হৈমন্তীর মায়ের এই দাবি প্রতিবেশীদের একাংশ যেমন মানতে চাইছেন না, তেমনই বিভিন্ন তথ্য অন্য কথা বলছে।
আরও পড়ুন :
ধার নিয়ে দেননি ফেরৎ, ব্যাঙ্কে বেনামে ঋণ, বিশাল-বিশাল গাড়িতে যাতায়াত, সন্দেহজনক উত্থান গোপালের
ফ্ল্যাটের দরজা তালাবন্ধ থাকলেও, ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দাবি করছেন, জানুয়ারির শেষেও দেখা গেছিল গোপাল ও হৈমন্তীকে। ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অঙ্কুর দে এবিপি আনন্দ-কে জানান, ২০২৩-এর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে যুগলকে দেখা গিয়েছিল এই ফ্ল্যাটে।
একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বড়বাজার শাখায় যুগলের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের। কাগজের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত, নমিনি ছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে, রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিসের নথিতে তথ্য বলছে, ২০১৩-র মার্চে তৈরি হওয়া এই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে দু-জন রয়েছেন। প্রথম নামটিই হচ্ছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। উল্লেখ রয়েছে একটি কোম্পানির নাম, হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড। আর ডিরেক্টর হিসেবে দ্বিতীয় নাম গোপাল দলপতির। অফিসের ঠিকানা ডালহৌসি!
রহস্যজনকভাবে এখানে দেওয়ালে লেখা রয়েছে, অফিসের টাইমিং রাত ১২টা থেকে সন্ধে সাতটা। তার নীচে দেওয়া একটি ফোন নম্বর! একাধিক ঠিকানার উল্লেখ মিলেছে, যেখানে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় থাকেন বা তাঁর অফিস থাকার কথা বলা হয়েছে। তেমনই একটি ঠিকানা হল হাওড়ার জগাছা। হৈমন্তীর পাশাপাশি, যে গোপাল দলপতি এখন সবার চর্চার বিষয়, তাঁর পৈতৃক বাড়ি হল পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগর থানার বাজকূলে। গোপালের মা জানান, ' বিয়ে করেছে কলকাতার মেয়েকে, ভালবাসা করে বিয়ে করেছে। বউমা দু'বছর আগে এসেছিল। এখানে তাঁর পোষায় না। কলকাতার মেয়ে তো..'
তাহলে কোথায় গোপাল দলপতি? কোথায় হৈমন্তী?