বাঁকুড়া:  সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাতড়ায় প্রশাসনিক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,‘ আজ ১২০০ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি দুয়ারে-দুয়ারে সরকার।নতুন প্রকল্প বাংলায় দুয়ারে-দুয়ারে সরকার। প্রতিটি মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি ব্লকে প্রতিদিন সকাল ১১ থেকে ক্যাম্প করা হবে ।এবছরও বাংলায় দশ লক্ষ বাড়ি দেওয়া হয়েছে। যাদের খড়ের বা মাটির বাড়ি তাদের আগে দেওয়া হবে'।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘ ১০০ দিনের কাজের টাকা দেরি করে পাঠায় কেন্দ্র । রাজ্যের বিভিন্ন স্কিমে কাজ করলে চাকরি যায় না ।

এই রাজ্যে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ৪০ % বেকারি বেড়েছে। ‘কিন্তু বাংলায় ৪০% শতাংশ বেকারি কমেছে।

একমাত্র বাংলায় কোন সরকারি কর্মীর মাইনে বন্ধ হয়নি। বাঁকুড়া জেলায় ৩২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক কাজ পেয়েছেন।

সারা বাংলাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হয়েছে। ’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মাওবাদী হানায় নিরুদ্দেশের পরিবার চাকরি পেয়েছে। ‘জঙ্গলমহলে ১০ হাজার জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছেন।

তাঁর অভিযোগ, ‘মামলা -হামলা করা ছাড়া সিপিএম-বিজেপির কোনও কাজ নেই। ’

কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ বাঁকুড়ার এক আদিবাসীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, স্টার হোটেল থেকে ভাত এনে দলিতের বাড়িতে খায়।বিজেপির এসব ভাঁওতা মানুষ বুঝে গেছে। ’

এছাড়াও সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে অমিত শাহর মাল্যদান বিতর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মূর্তি বীরসা মুণ্ডার নয়, এক আদিবাসী শিকারীর। এমন দাবি ঘিরেই বিতর্ক। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বীরসা মুণ্ডা বলে অন্য মূর্তির গলায় মালা দিয়েছেন ।
‘আগামীদিনে বীরসা মুণ্ডার জন্মদিনে রাজ্যে ছুটি থাকবে। ’

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিষ্ণপুর ঘরাণার সব শিল্প নিয়ে আর্কাইভ তৈরি করা হচ্ছে ।৮ হাজার বিঘা জমিতে মাটি সৃষ্টি প্রকল্পের কাজ চলছে । সব মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। একশ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুত্ পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়েছে' ।

তিনি জানিয়েছেন, ‘আগামী জুন মাস পর্যন্ত বিনা পয়সায় রেশন পাওয়া যাবে । একইসঙ্গে বলেছেন,  ‘আমাদেরই সরকার থাকবে,  আমরা  ওই প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেব। ’

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ রাজ্যে সাড়ে সাত কোটি মানুষ স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড পেয়েছেন। ’

তিনি  বলেছেন, ‘ নির্বাচনের আগে অনেক রাজনৈতিক দল আসবে । অনেকে ব্যাঙ্কে টাকা দিয়ে দেবে । সেই টাকা কিন্তু আপনাদের টাকা।

টাকা নেবেন কিন্তু ভোট দেবেন না।  নির্বাচনের আগে হিংসার পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হবে । আপনারা সতর্ক থাকবেন। ’

কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনকেও নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেছেন, ‘ দিল্লির সরকার সব আলু নিয়ে চলে যাবে ।

মানুষের আলুভাতেও জুটবে না। ‘চাষী, দলিত, আদিবাসী সবার অধিকার কেড়ে নেবে ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা যে ট্রেনে এসেছিলেন সেই ভাড়া রাজ্য দিয়েছে ।একটা-দুটো খারাপ লোক দেখে রাজ্যের বিচার হয় না ।

একটা-দুটো খারাপ লোক সব সংস্থাতেই আছে। ’

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আরও ২ লক্ষ ছেলে-মেয়েকে বাইক দেওয়া হবে ।বাক্স দেওয়া বাইকের ব্যবস্থা করা হবে । কর্মই ধর্ম প্রকল্পে এই বাইক দেওয়া হবে ।এই বাইকের সাহায্যে ব্যবসার সুবিধা হবে' ।