সনত্‍ ঝা, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও ঋত্বিক মণ্ডল, এবিপি আনন্দ:  রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাবের মাঝেই শুরু হল তরজা। স্টকে ভ্যাকসিন নেই, একথা কি এখনও বলতে পেরেছে রাজ্য? প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উনি কি স্টোরকিপার? পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের। রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনায় বামেরাও। যদিও বিজেপির দাবি, ভ্যাকসিন নিয়ে ঠিক পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্র।


কোথাও মাঝরাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন।করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তেই, রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের এমনই হাহাকারের অভিযোগ সামনে এসেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাহিদার তুলনায় একদমই সামান্য সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠানোর অভিযোগ বারবারই তুলছে রাজ্য সরকার। এই প্রেক্ষাপটে এবার পাল্টা তৃণমূল সরকারের ভুমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিনের লাইনে দাড়িয়ে মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। এটা যেমন ঠিক, তেমনই স্টকে ভ্যাকসিন নেই, রাজ্য সরকার কি এটা বলতে পেরেছে এখনও? আরও ভ্যাকসিন চাই। কিন্তু স্টকে কি নেই?। তাহলে লাইনে দাঁড়িয়ে পাচ্ছে না কেন?
এর জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, রাজ্যপাল কি স্টোর কিপার? উনি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। যেমন রাষ্ট্রপতি তেমন রাজ্যপাল। কিন্তু কোনওকিছুই মানেন না। এখন আবার স্টোর কিপার হয়েছে।ওঁর সম্পর্কে যত কম বলা যায়, ততই ভাল।


বর্তমানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই বাংলাও যখন, ভয়ঙ্কর করোনা গ্রাসে, তখন, রাজ্যপালের এই ভূমিকা একদমই সঠিক নয় বলেই মনে করছে বামেরাও।  রাজ্য বামফ্রন্ট  চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন,রাজ্যপালের ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়া উচিত। রাজ্যপাল নেতিবাচক হয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান রাজ্যের যা অবস্থা রাজ্যপালের উচিত কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। রাজ্যপালের আচরণ ঠিক নয়। মানুষ পছন্দ করছে না।


যদিও, বিজেপির দাবি, ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সঠিক পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্র। তৃণমূল শুধুই রাজনীতি করছে।


এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৮৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৯৩ জন। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন ৩৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৪৬ জন।