ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: মৃত্যুর পরও নজির মরণোত্তর দেহদান ও অঙ্গদান আন্দোলনের পুরোধা ব্রজ রায়ের।গবেষণার জন্য করোনায় মৃতের ময়নাতদন্ত। কোভিডে কোন অঙ্গে কতটা ক্ষতি? জানতে আরজি কর হাসপাতালে করা হল প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি।
বাংলায় অঙ্গদান আন্দোলনের পথিকৃত তিনি। করোনায় মৃত্যুর ফলে, অঙ্গদান করা না গেলেও বিদায়বেলাতেও এক অনন্য নজির গড়ে গেলেন রাজ্যে অঙ্গদান আন্দোলনের পথিকৃত ও গণদর্পনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্রজ রায়।করোনায় মৃত্যুর ফলে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কী ধরনের প্রভাব পড়ে, তা জানতে ব্রজ রায়ের মৃতেদেহের ময়নাতদন্ত করা হল।যা নজিরবিহীন।
গণদর্পণের এক প্রতিনিধি বলেছেন, করোনা গবেষণায় খুব কাজে লাগবে...চিকিৎসকরা বুঝতে পারছেন না, তাতে খুব সুবিধা হবে। এশিয়ায় প্রথম এটা হল।
১৯৯০ সালে এরাজ্যে প্রথম দেহদান হয়েছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। এদিন সেখানেই হল করোনায় মৃতের প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি।হাসপাতালের দাবি, পূর্ব ভারতে এই প্রথম করোনায় মৃতের প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি হল।
বৃহস্পতিবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ব্রজ রায়ের। এদিন, গবেষণার স্বার্থে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ধরে হল ময়নাতদন্ত।
গণদর্পণের প্রতিনিধি বলেছেন, তিনি বারবার বলতেন, আমার দেহ যেন বিজ্ঞানের কাজে লাগে...সেটাই হয়েছে।
ময়নাতদন্ত দু’রকম হয়।পুলিশি তদন্তে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে এবং রোগ নির্ণয়ে গবেষণার স্বার্থে।
প্যাথোলজিস্ট প্রদীপ মিত্র, এরাজ্যে এটা খুব কম হয়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলাম। কোভিড চিকিৎসকদের অনেক সুবিধা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাথোলজিক্যাল অটোপসিতে দেখা হয়,মৃতের বিভিন্ন অঙ্গের কী অবস্থা?কোন অঙ্গে কী ক্ষতি হয়েছে?এছাড়াও, বিভিন্ন অঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান সোমনাথ দাস বলেছেন, রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ উদ্যোগে এটা হল। আগে আইসিএমআর-এর নির্দেশে ধোঁয়াশা থাকায় এটা হচ্ছিল না। এতে চিকিৎসদের সুবিধা হবে। আগামীদিনে আরও অটোপসি হবে।
উল্লেখ্য, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে অঙ্গদান আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত ব্রজ রায়ের।