রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: করোনাকালে আনা যাবে না অনাস্থা প্রস্তাব। মুর্শিদাবাদে নির্দেশ দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও উল্টো সুর দলেরই বিধায়কের গলায়। রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
করোনা পরিস্থিতিতে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। জেলার সব বিধায়ক, ব্লক সভাপতি-সহ সবস্তরের নেতৃত্বকে নির্দেশ দিল মুর্শিদবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খান বলেছেন, বলে দেওয়া হয়েছে কোনও অনাস্থা আনা যাবে না।
বিধানসভায় বিপুল ভোটে জয়ের পর থেকেই, দলীয় স্তরে ঝাড়াই-বাছাই শুরু করেছে তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে, জলঙ্গির তৃণমূল পরিচালিত চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে খোদ তৃণমূলই।
দলীয় সূত্রে খবর, রানিনগর, হরিহরপাড়া, খড়গ্রাম, বহরমপুর-সহ জেলার একাধিক জায়গায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু, তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের যুক্তি, করোনাকালে পরপর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনলে কাজের গতি কমে যাবে।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ, যদি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, তা জেলা নেতৃত্বকে লিখিত আকারে জানাতে হবে। জেলাস্তরে তা পর্যালোচনা করা হবে। এরপর রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়ে সময়মতো অনাস্থা প্রস্তাব আনার অনুমতি দেওয়া হবে।
যদিও কার্যত জেলা নেতৃত্বেরই উল্টো সুর শোনা গিয়েছে জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়কের গলায়! জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কেউ যদি দেখে বুঝে বসে থাকে তাহলে কিছু বলার নেই। অনাস্থা মেম্বাররাই নিয়ে এসেছে। এই কার্যকলাপ তো একবছর ধরে চলছে।
অন্যদিকে, ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা আনে তৃণমূল। আস্থা ভোটের আগে বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির কটাক্ষ, তৃণমূল জেলা পরিষদে অনাস্থা আনছে। কিন্তু, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বী এড়াতেই, নিচুস্তরে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইছে না।