কলকাতা: এক সপ্তাহ আগেও কাটা মুরগির মাংসের দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। বর্তমানে এক ধাক্কায় সেই দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
কিন্তু হঠাৎ‍ মুরগির মাংসের দামে কেন এমন ধস? ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব! পোলট্রির মুরগির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ঢুকেছে বলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে থাকা পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য নদিয়ার শান্তিপুরে।
শুধু নদিয়া নয়, গুজব ছড়িয়েছে অন্যান্য জেলাতেও। ব্যবসায়ীদে দাবি, সেই গুজবের ধাক্কায় কমেছে বিক্রি, পড়েছে মুরগির দাম। এপ্রসঙ্গে, ওয়েস্টবেঙ্গল পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, আমাদের ১৫ দিনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি, ৪০ শতাংশ উৎ‍পাদন কমেছে, গুজবকে কেন্দ্র করে এই অবস্থা, পশু চিকিৎ‍সকদের সঙ্গে কথা বলেছি, ওনারা বলেছেন মুরগি থেকে করোনাভাইরাস হচ্ছে না।
নদিয়ার রানাঘাটের পাইকারি মুরগি বিক্রেতা বুরান সাহা বলেন, কয়েক দিন ধরে গুজবের ফলে আমাদের বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে, অনেক বড় বড় অর্ডার বাতিল হয়েছে। হোটেল রেস্তোঁরায় নামমাত্র চলছে।
শুধু করোনাভাইরাস ঢুকে পড়ার গুজবই নয়, নদিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎ‍সাধীন বহু মানুষ। যদিও এই গুজব উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন,চিকিৎ‍সকের নাম বাদ দেবে। চিকিৎ‍সকের নাম বাদ দেবে। এই করোনাভাইরাস নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, ইতিমধ্যেই আমি শান্তিপুর থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। করোনা ভাইরাস মোটেও এখানে আসেনি, এর জন্য অনেক ব্যবসায়ী বিপাকে পড়েছেন। গোটাটাই গুজব।
করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব রুখতে প্রচার চালাচ্ছে শান্তিপুর পুরসভা। চেয়ারম্যান অজয় দে বলেন, শান্তিপুর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, আমরা মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি নিয়েছি। এই প্রেক্ষিতে চিকিৎ‍সক থেকে পুলিশ ও প্রশাসন - সবারই দাবি করোনাভাইরাস নিয়ে গুজবে কান দেবেন না।