নয়াদিল্লি: SIR নিয়ে সংসদে সরব তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 'নাগরিকত্ব বিচার করতে পারে না কমিশন। কে নাগরিক আর কে নাগরিক নন, এটা ঠিক করা কমিশনের কাজ নয়', দাবি জানান তিনি। কল্যাণের কথায়, 'বিহারে SIR-এর সময়ে অনুপ্রবেশের কথা বলেছিল বিজেপি। বিহারে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে?' প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বর্ষীয়ান নেতা। এবং স্পষ্ট বলেন, 'অনুপ্রবেশ হলে, সেটা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়।'

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'প্ল্যান করে করেছে..', SIR-এর পিছনে বিজেপির এই 'ষড়যন্ত্র' দেখছেন মমতা !

Continues below advertisement

এদিন কমিশনকে নিশানা করে তিনি বলেন, কী দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি চলছে গোটা দেশে।' এরপরেই কল্যাণ বলেন, আমার বিধানসভা কেন্দ্রে একজন ভদ্রমহিলা এসে জানান, যে তিনি খুব জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখী হয়েছেন। কী হয়েছে জানতে চাইতেই বলেন, আমার শ্বশুর ও শাশুড়ির নাম ১৯৯৫ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তাঁরা খড়গপুরে, রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। ২০০১ সালে, তাদের বদলি হয়ে যায়। এরপর যখন ২০০২ এর SIR প্রক্রিয়া হয়, তাঁরা সেখান থেকে চলে যাওয়ায়, তাঁদের নাম আর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি ভোটার তালিকায়!..'। এরপরেই নাম অন্তর্ভুক্তকরণ নিয়ে তিনি কমিশনকে নিশানা করেন। কল্যাণের কথায়,' কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। এবং শেষ সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টই নেবে। আধারকার্ড প্রথম এনুমারেশন তালিকায় উল্লেখিত ছিল না, বিহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট, আধার কার্ড অন্তর্ভুক্ত করল।  

কিছুদিন আগেই ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন,' সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা আমি নিজে করব, আমি দেখে নেব। দেখে নেব। নির্বাচন কমিশনকে দেখে নেব, বিজেপি, নরেন্দ্র মোদিকে দেখে নেব। রাজনৈতিকভাবে,আইনগতভাবে দেখে নেব। কোনও মুসলিম ভোটারের নাম কাটতে দেব না। বিজেপি যতই চক্রান্ত করুক না কেন। তারা ভারতের নাগরিক।'

 পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ' ওই স্পেশাল ভোটব্যাঙ্ক ওনার সঙ্গে না থাকলে উনি তো জিততে পারবেন না।  একটা নামও আমরা রাখতে দেব না মুসলিম অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। AI ফটো স্ক্যান হবে। যারা পিতামাতার জায়গায় অন্য রিলেটিভ লিখে দেবেন, ইলেকশন কমিশনের সফটওয়ার সেটা নেবে না। ইলেকশন কমিশন আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে পশ্চিমবাংলার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে লেগেছে।'

উল্লেখ্য, এবছর বিহারে প্রথম SIR চালু হওয়ার সময় থেকেই, তার বিরোধিতায় সরব হয়েছিল কংগ্রেস। ভোট চুরির অভিযোগ একযোগে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধী। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ২৫ লক্ষ ভোট চুরির অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন তিনি।