অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার:  শীত পড়ছে। উত্তরবঙ্গের শহরগুলোতে পর্যটকদের ভিড়ও ধীরে ধীরে বাড়া শুরু হবে। কিন্তু এরই মধ্যে ভারত-ভুটান সীমান্তের বানিজ্যিক শহর জয়গাঁওতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা বনধ। জয়গাঁও এলাকার বেহাল সড়ক, যানজট সমস্যা ও যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা এই তিনটা সমস্যা সমাধানের দাবিতে জয়েন্ট ফোরাম অব বিজনেসম্য়ান অর্গানাইজেশনের ডাকে চলছে ব্যবসা বনধ। 


আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-ভূটান সীমান্তের জয়গাঁও শহর। সেখান থেকে মঙ্গলাবাড়ি এলাকায় সব দোকানপাট ছিল বন্ধ। অটো-টোটো বন্ধ থাকায় ব্য়স্ততম জয়গাঁ শহরের সড়ক ছিল প্রায় শুনশান। জানা যায়, এই জয়েন্ট ফোরামের ব্যবসায়ীরা গত তিন মাস ধরে জেডিএ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আকারে রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুজোর পরে রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেওয়াও হয়েছিল। সেই আশ্বাসে কোনও কাজ হয়নি বলেই ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রতিটি দফতর থেকেই শুধু মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবারে তাঁরা চাইছেন রাস্তার কাজ দেখতে। যতদিন না পর্যন্ত নতুন রাস্তা তৈরির আশ্বাস মিলবে ততদিন তাঁদের ধর্মঘট চলবে। 


এই ব্যাপারে জয়গাঁও ডেলভমেন্ট অথরিটির (JDA) চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ''উপ নির্বাচনের কারণে জেলায় এমসিসি লাগু হওয়ায় রাস্তা মেরামতের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। অবশ্যই কাজ হবে। পাশাপাশি, আবর্জনা সংষ্কার নিয়েও দ্রুত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবং সেখানেই যানজটের সমস্যার সমাধান বের করা হবে।'' তবে ব্য়বসায়ীদের বনধ তুলে নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি। 


এদিকে, উপ নির্বাচনের প্রাক্কালে আলিপুরদুয়ারের মুজনাই চা বাগানে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার। অন্য সময় দেখা যায় না, ভোটের সময় কেন এসেছেন, প্রশ্ন তোলেন বাগানের শ্রমিকরা। কোনওমতে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন বিজেপি প্রার্থী। কিছুদূর যাওয়ার পর প্রার্থীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চা শ্রমিকরা। গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়।


এদিকে, ভোট শুরুর আগেই বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার জানিয়েছিলেন, 'চা বাগানের সকলের তৃণমূলের কাজ নিয়ে ক্ষিপ্ত। ভোটের আগে চা বাগান খুলে দিলেও ভোটের পর ফের তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। চা বাগানের শ্রমিকরা ক্ষেপে আছে গোটা বিষয়টি নিয়ে।'