সমীরণ পাল, সোদপুর : আগ্রাসী হড়পা বান কেড়ে নিয়েছে একের পর এক প্রাণ। এখনও নিখোঁজ বহু। রোজই মৃহদেহ নামছে পাহাড় থেকে। প্রাণ গিয়েছে বারুইপুরের মেয়ে বর্ষার। এই দুঃসংবাদের মধ্যেই আরও এক বাঙালি পরিবারের খোঁজ মিলছিল না বিপর্যয়ের পর থেকে।
নিখোঁজ সোদপুরের বাবা, মা ও ছেলে
অমরনাথ দর্শনে গিয়ে সাময়িক যোগাযোগ হারান সোদপুরের বাবা, মা ও ছেলে। উত্তর নাটাগড়ের বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী নারায়ণচন্দ্র দে, স্ত্রী রুমা ও ছেলে সাগরকে নিয়ে ৪ জুলাই অমরনাথ রওনা দেন। সাগর এখনও অপ্রাপ্তবয়স্ক। বৃহস্পতিবার শেষবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁদের। শুক্রবার বিপর্যয়ের পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি ওই তিনজনের সঙ্গে। তারপর আসে স্বস্তির খবর। অমরনাথ-বিপর্যয়ের তিনদিন পর, সন্ধান মিলল সোদপুরের উত্তর নাটাগড়ের বাসিন্দা বাবা, মা ও ছেলের। উদ্ধারের পর তাঁদের পাঞ্জাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর।
'কেউ নেই তালিকায়'
হাহাকার চলছিল পরিবার জুড়ে। পরিবারের সদস্যা জানালেন, পরিবারের মানুষদের খোঁজে সারাদিন ফোন করেছেন বিভিন্ন হেল্পলাইনে। জম্মুতে ফোন করে কখনও জেনেছেন, ডেডলিস্টে নাম নেই নারায়ণচন্দ্র দে বা পরিবারের কারও। আবার কখনও বলা হচ্ছিল, এই নামের কেউ নেই তালিকায়।
অমরনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ বহু পুণ্যার্থী। রাতভর চলেছে উদ্ধারকাজ। চারিদিকে শুধুই আতঙ্কের ছবি। বিপর্যস্ত উপত্যকায় আটকে ত্রস্ত বাংলার পুণ্যার্থীরাও। বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন তাঁরা। এদিকে হাতে আর টাকা নেই। কিন্তু তাঁবুতে তো থাকতে হবে। সেখানে বিনা পয়সায় আর আশ্রয় দিতেও চাইছেন না মালিকদের একাংশ। সবমিলিয়ে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্কের দিন-রাত্রি। এদিকে উদ্বেগ বাড়ছে তাঁদের পরিবারেও।
প্রাণ গিয়েছে বারুইপুরের মেয়ের
অন্যদিকে প্রাণ গিয়েছে বারুইপুরের মেয়ে বর্ষা মুহুরির। কলকাতায় এনে তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্নও হয়েছে। রবিবার বারুইপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস।