মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বেড রেস্টের পরামর্শ ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক। উঠছে প্রভাব খাটিয়ে জোর করে লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। মাধ্যমিকে দ্বিতীয়, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী, ডাক্তারির উজ্জ্বল ছাত্র চন্দ্রনাথ অধিকারী (Chandranath Adhikari) বলছেন, তিনি মেরুদণ্ড বিক্রি করতে পারবেন না।                                   


অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনে সেই তাঁর নামই এখন রাজ্যবাসীর মুখে মুখে! চিকিৎসক সাফ জানিয়েছেন, "জয়েন্টে ২২ র‍্যাঙ্ক করেছি, মাধ্যমিকে দ্বিতীয়, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হই, তখনই মেরুদন্ড চিনে গেছি। মেরুদন্ড বিক্রি করতে পারব না।" বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘুঘুর বাসা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।                                 


চন্দ্রনাথ কেরিয়ার   


মাধ্যমিকে দ্বিতীয়, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম, কাউন্সেলিংয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ২২ র‍্যাঙ্ক, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল থেকে শিশুরোগ চিকিৎসায় ডিপ্লোমা। এরপর, রাজ্যের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল SSKM থেকে জেনারেল সার্জারিতে স্নাতকোত্তর। পড়াশোনায় বরাবরই তুখোড়, দুরন্ত কেরিয়ার, বছর ছ’য়েক আগে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেন চন্দ্রনাথ অধিকারী। উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ হয়ে এখন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত।                                      


আরও পড়ুন, নিয়োগে-দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার এসএসসির ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা


চিকিৎসকরা কী বলছেন? 


এখন প্রশ্ন, সরকারি চিকিৎসকদের ওপর প্রশাসনিক চাপ রয়েছে? অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, "ডাক্তারদের উপর প্রশাসনিক চাপ, বাধ্য করা হচ্ছে। চিকিৎসক ও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, " একজন ডাক্তার তিনি যখন Hippocratic Oath নেন তখন, এই শপথ নেন, তিনি কখনই অসুস্থকে সুস্থ বলবেন না, আর সুস্থকে অসুস্থ বলবেন না। তিনি জেনে বুঝেই বলেছেন। পরে কী বললেন সে তো অন্য বিষয়।" 


সব মিলিয়ে, সরকারি চিকিৎসকদের উপর প্রশাসনিক চাপের অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর তুঙ্গে।