মুন্না আগরওয়াল, হিলি: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনার কারণে এখনও পর্যন্ত ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত (Hili Border) পেরিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে ফিরলেন প্রায় ৩২০ জন ভারতীয় ও নেপালি ছাত্র-ছাত্রী (Students)। বাংলাদেশের পুলিশ উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ হলেও তার কোনও আঁচ তাঁরা পাননি। তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশের পুলিশ কর্মীরা ভারত সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
এদিকে বাংলাদেশে কার্ফু জারি হওয়ার কারণে রবিবার থেকে আমদানি ও রফতানি বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে। এপ্রসঙ্গে হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা জানান, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমদানিকারী সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দু-দেশের মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানা গেছে। এর ফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার জেরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে রফতানিকারীরা।
নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল এবিষয়ে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ও। তিনি জানান, "অশান্ত বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতে কয়েক শো পড়ুয়া ও অন্যান্যরা ফিরে আসছেন। আমি আমাদের রাজ্য প্রশাসনকে যাঁরা ফিরে আসছেন তাঁদের সবরকম সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছি। আজকেই আনুমানিক ৩০০ জন পড়ুয়া হিলি সীমান্তে এসে পৌঁছন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপদে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। ওই পড়ুয়াদের মধ্যে ৩৫ জন সাহায্য চেয়েছিলেন। আমরা তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্যের ব্যবস্থা করেছি।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।