পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেছেন,সংবিধানে একটা কথা লেখা আছে বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল অ্যান্ড অফ দ্য পিপল। এই কথা যারা না মেনে পার্টি করে, সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না তাদের বেশিদিন স্থায়িত্ব নয়। বাই দ্য পার্টি নয়। মানুষের কথা না ভাবলে অতলে তলিয়ে যাবে।
সম্প্রতি প্যারাশুট ও লিফটের প্রসঙ্গ তুলে প্রতিপক্ষকে খোঁচা দিয়েছিলেন শুভেন্দু! বলেছিলেন, প্যারাশুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে এখানে উঠেছি।
এবার নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা শুভেন্দুর গলায়।বললেন, ক্ষমতার দম্ভ বেশিদিন টেকে না। সাধারণ মানুষের আবেগ ও ভালবাসা পেলে তবেই টিকবে। না হলে নন্দীগ্রামে বামফ্রন্টের অবস্থা হবে।
আবারও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দু কি নির্দিষ্ট কাউকে অহঙ্কারী বলছেন? তাঁর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন? কিন্তু, এই প্রশ্নেরও সরাসরি কোনও উত্তর মিলছে না। আর শুভেন্দুর রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা যত জোরাল হচ্ছে, ততই তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল বাড়ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরির কটাক্ষ,ওনারা কতটা উন্নয়ন করছেন তা হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দেখে বোঝা যায়। সাধারণ মানুষ জানেন। ওনার কাছ থেকে এসব কথা শুনতে চাই না।
এদিন ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের আরগোয়াল পঞ্চায়েতের নতুন প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। গত কয়েকদিনের মতোই অনুষ্ঠানস্থলের আশেপাশে কোথাও তৃণমূলের নামগন্ধ মেলেনি! সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন হলেও ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বা নাম!
যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। অখিল গিরি বলেছেন, সরকারের টাকায় হল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কেন থাকল না, সে নিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলব।
এদিন অনুষ্ঠান স্থল জুড়েই শুধু ছিল শুভেন্দু অধিকারীর ছবি...। ‘আমরা দাদার অনুগামী’ লেখা ব্যানার গলায় ঝুলিয়েও অনেককে দেখা গিয়েছে....।