পাল্টা কংগ্রেস কর্মীও পথে নামেন। তাঁরা বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে যাচ্ছিলেন।কিন্তু তার আগেই মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলিশ যুব কংগ্রেস সমর্থকদের আটকে দেয়। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে। বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়। এরপর যুব কংগ্রেস কর্মীরা অবস্থানে বসেন। বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের অদূরে কংগ্রেস সমর্থকদের অবস্থানে বসতে বাধা দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে প্রচারের হাতিয়ার করেছিল কংগ্রেস। সম্প্রতি রাফাল চুক্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দাবি ফের খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতে ২০১৮-র ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির বিক্ষোভের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, একটা রাজনৈতিক দলের অফিসের সামনে অন্য একটা রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ দেখাবে, এটা কোনও কালচার নয়। এটা চমক ছাড়া অন্য কিছু নয়। এ রাজ্যে এ ধরনের রাজনীতি চলে না। বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও।