পশ্চিম বর্ধমান: কয়লা পাচারের টাকা যাচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপির ঘরে।টাকার বখরা নিয়েই এখন দু’দলের মধ্যে বিবাদ। এই অভিযোগ তুলে দুই বিপক্ষককে একযোগে বিঁধলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, কয়লা পাচারের টাকা পাচ্ছে একজনের ছেলে আর একজনের ভাইপো। সবাই জানে এই টাকা কোথায় যাচ্ছে। তৃণমূল এবং বিজেপি এই টাকার শেয়ার নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। যার জন্যে আজকের এই পরিস্থিতি। বামফ্রন্ট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

রানিগঞ্জে সিপিএমের জোনাল অফিসকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা অফিসে পরিবর্তিত করা হয়। সোমবার নতুন অফিসের উদ্বোধন করতে এসে কয়লা পাচার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা আরও উস্কে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
পাল্টা কয়লা পাচার নিয়ে সিপিএমকে একসুরে বিধেছে তৃণমূল-বিজেপি।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সহ সভাপতি পূর্ণশশী রায় বলেছেন, সূর্যবাবু প্রবীণ নেতা। তিনি ভালভাবেই জানেন কাদের সময় এই অবৈধ পাচার শুরু হয়। একবার থানা-ফাঁড়িগুলিতে খবর নিয়ে দেখতে পারেন যে তখন কত কয়লা পাচার হয়েছে আর সেই পাচারের টাকা কাদের পকেটে গেছে। উনি দেখুন যাতে বামের ভোট রামে না চলে যায়।
রানিগঞ্জ টাউন বিজেপির সভাপতি রাজেশ মণ্ডল বলেছেন, বিজেপি এর সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নয়। বামেদের সময়েই কয়লা পাচার শুরু হয়েছিল এটা সবাই জানে। এখন সিবিআই তদন্ত চলছে। দেখুন ভবিষ্যতে কী হয়।
বর্তমানে কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
লালার বিরুদ্ধে অভিযোগ,কোটি কোটি টাকার অবৈধ কয়লা কারবারের মালিক তিনি। লালার মাধ্যমেই টাকা পৌঁছয় প্রভাবশালীদের কাছে।


গত শনিবার লালার সন্ধানে রানিগঞ্জ সহ এরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। ওইদিন বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার মিলিয়ে মোট ৪৫ জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তবে এখনও অধরা লালা।
এখন প্রশ্ন হল, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া কি কয়লার কোটি কোটি টাকার অবৈধ কারবার সম্ভব? আর এর জাল কতদূর অবধি ছড়িয়ে? আদৌ কি মুখোশ সরে সেই মুখগুলো বেরোবে? না কি সারদা-নারদ-রোজভ্যালির মতো তদন্ত চলছে, তো চলছে...এমনটাই হবে?