পশ্চিম মেদিনীপুর: কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি অরাজনৈতিক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, তিনি এখনও একটি দলের প্রাথমিক সদস্য। দল এখনও আমায় তাড়ায়নি, দলও আমি ছাড়িনি।


এই মন্তব্যের পর তিনটি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, দল এখনও ছাড়েননি!তাঁর ভবিষ্যত রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হবে, সেটাই এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

এরইমধ্যে জেলায় জেলায় দাদার অনুগামীদের নামে পোস্টার পড়া অব্যাহত।

এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রকোণা পুরসভা এলাকা ছেয়ে গেল শুভেন্দুর ছবি সহ এমন পোস্টারে।

শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী সঞ্জিত মিদ্যার বক্তব্য, শুভেন্দু যুব সমাজের আইকন।  চন্দ্রকোনায় আমি আমার দলবল নিয়ে কী করেছি সেটা সবার জানা। আইকন বলেই পোস্টার দিয়েছি। অনেকে অনেক কিছু বলে। পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়।

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। তাই এই জেলায় তৃণমূলের সংগঠনে তাঁর দাপটও রয়েছে! ৭ তারিখ মেদিনীপুর আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এই জেলাতেই শুভেন্দুর ছবি সহ একাধিক পোস্টার! যদিও, প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূল নেতা ও  চন্দ্রকোণা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ, বলেছেন, নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে কেউ কেউ এরকম করছেন। তাঁরা কী করছেন সবারই জানা। এসব করে বিশেষ কিছু লাভ হবে না।

শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি যত বাড়ছে, ততই উৎ‍সাহিত হচ্ছে বিজেপি।

স্থানীয় বিজেপি নেতা  রাজীব বলেছেন, চন্দ্রকোনায় আজ যাঁরা দাদার অনুগামী, তাঁরাই একসময় তৃণমূল করত। আজ তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছেন। শুভেন্দু বড় নেতা। এখানে তৃণমূলের মধ্যে খেয়োখেয়ি চলছে। এসব নিয়ে বিজেপির মাথাব্যথা নেই।

সব মিলিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘দাদার ভবিষ্যত পদক্ষেপ’ নামক নাট্যপালায় পর্দা নামার আপাতত কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না।