দুর্গাপুর: বাড়িতে জামাকাপড়ের ট্রাঙ্কে গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ! বেপাত্তা স্বামী! রোমহর্ষককাণ্ড দুর্গাপুরের বেনাচিতি পাওয়ার হাউস এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম রেখা মণ্ডল। তাঁর রাজমিস্ত্রী স্বামী সুভাষ মণ্ডল নিখোঁজ। দুর্গাপুর থানার পুলিশের সন্দেহ, স্ত্রীকে খুন করে ট্রাঙ্কে মৃতদেহ লুকিয়ে পালিয়ে গেছেন সুভাষ! হাওড়ার বাগনানে ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্বামী! অভিযুক্ত অবশ্য ছিনতাইবাজদের হামলার দাবি করছেন! সেই রহস্যের উদঘাটন হতে না হতেই যত কাণ্ড দুর্গাপুরে! এক্ষেত্রে কি মৃতার স্বামীই খুনি? না কি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে? সবদিক খতিয়ে দেখছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। 


ঘরের মধ্যেই ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর মৃতদেহ। দুর্গাপুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। মঙ্গলবার রাত থেকে খোঁজ মিলছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে, বাড়িতেই ট্রাঙ্কের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর মৃতদেহ। হাড়হিম করা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের বেনাচিতি পাওয়ার হাউস এলাকায়। 


হাওড়ার বাগনানে ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রীকে খুনের অভিযোগে, তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর দুর্গাপুরেও স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধূর নাম রেখা মণ্ডল। বয়স ২৬ বছর। ১১ বছর আগে সুভাষ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়। 


মৃতের পরিজনদের দাবি, ২৫ ডিসেম্বর সুভাষ মদ্যপান করে বাড়ি ফেরায়, আপত্তি জানান স্ত্রী। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও, ২৭ তারিখ মঙ্গলবার রাতে ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। এরপরই স্ত্রীকে খুন করে, স্বামী ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। 


সেই সময় মৃতের ১০ বছরের ছেলে পাশে দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে ছিল। সেই সময়, ছেলের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে, ঘর থেকে বেরিয়ে যান অভিযুক্ত। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না গৃহবধূর। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের ভিতরেই ট্রাঙ্ক থেকে মেলে তাঁর মৃতদেহ। 


রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকার একটি নামী কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন রেখা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানে তিনি বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে সন্দেহ করতেন স্বামী। তাহলে কি খুনের পিছনে, শুধুই মদ্যপান নিয়ে অশান্তিই কারণ? না অন্য কিছুও আছে? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করছে, মোবাইল টাওয়াল লোকেশন ট্র্যাক করে যাতে তাঁকে ধরা না যায়, সেই কারণেই ছেলের কাছে মোবাইল রেখে গেছেন অভিযুক্ত। 


গৃহবধূকে কীভাবে খুন করা হয়েছে, অভিযুক্ত ধরা পড়লেই, তা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে পুলিশ।


গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু: চলতি মাসেই দত্তপুকুরের জামতাগড়ে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু হয়। বহুতলের পাশ থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ। মৃত মহিলা ঘোলার বাসিন্দা। গতকাল রাতে দত্তপুকুর থানার পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। কীভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।