সুনীত হালদার, হাওড়া: ডেঙ্গির সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। ডেঙ্গির (dengue) প্রকোপ রুখতে হাওড়ার শরৎ সদনে শহরের ৫০  জন চিকিৎসক নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন হাওড়া (howrah) পুরসভা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন এখন থেকে শহরের এইসব চিকিৎসকদের সঙ্গে পুরসভা যোগাযোগ রেখে কাজ করবে।


হাওড়া পুর এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকায় একটি ৮ বছরের বাচ্চা মেয়ে ডেঙ্গিতে মারা যায়। মধ্য হাওড়ার টিকিয়াপাড়া, কদমতলা এলাকা ছাড়াও শিবপুর, সালকিয়া এবং বেলগাছিয়া এলাকায় ডেঙ্গির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর গত দু'মাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০।


ডেঙ্গি রুখতে আজ হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে শরৎ সদনে শহরের চিকিৎসকদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এই বৈঠকে চিকিৎসকরা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভাকে কিছু প্রস্তাব দেয়। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরাও ডেঙ্গি প্রতিরোধে চিকিৎসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন। ঠিক করা হয়েছে চিকিৎসকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে। যে গ্রুপের মাধ্যমে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান করা হবে।


এদিকে বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরসভার কর্মীরা এলাকায় মশা মারার তেল ছড়ায় না। অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যায়। যার ফলে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ ব্যাপারে তাঁরা আতঙ্কিত। যদিও হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরে শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ কম। তবে ডেঙ্গি রুখতে শহরের চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বাড়ি বাড়ি প্রচার করা হচ্ছে। এদিকে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য উমেশ রায় পুরসভার এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেন। তিনি অভিযোগ করেন পুরসভায় শুধু মিটিং হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। গত কয়েক বছর পুরসভা পরিচালনায় প্রশাসক মন্ডলী সম্পূর্ণ ব্যর্থ।


আরও পড়ুন: রাজপুরে মারমুখী মেজাজে লাভলি ও কুহেলির অনুগামীরা ! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে নামল পুলিশ