সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটে জিতেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন খড়গপুরের একমাত্র সিপিআই কাউন্সিলর। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে শাসক দল। দল বদলালে মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না বলে বার্তা দিয়েছে সিপিআই।


খড়গপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলর নার্গিস পারভিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যা মানুষদের কথা ভাবেন, উন্নয়নের চেষ্টা করেন। আমি উন্নয়নের সঙ্গে থাকব। ওনার সঙ্গে সঙ্গ দিতে চাই।''


এবার পুরভোটে খড়গপুরে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিন। জয়ের মার্জিন ৫ হাজারেরও বেশি! এহেন সিপিআই কাউন্সিলরই এবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন! 


খড়গপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বামেদের গড় হিসেবে পরিচিত। বামেদের দাবি, ৫২ বছর ধরে তারা এই ওয়ার্ডে জিতে আসছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ২০১৫-র পুরভোটে এই ৪ নম্বর ওয়ার্ডে যিনি সিপিআইয়ের হয়ে জিতেছিলেন, সেই শেখ হানিফ ভোটের পর তৃণমূলে যোগ দেন। এবার তৃণমূল নেতা শেখ হানিফের স্ত্রীকে হারান সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিন। কিন্তু, ভোটে জিতে এবার তিনিও তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলেন। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইয়ের সহ সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট বলেন, ''যারা খড়গপুরে দলবদল করছেন মানুষ তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ গেলে মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না।" 


এদিকে, সিপিআই কাউন্সিলরের দলবদলের জল্পনা ঘিরে রেলশহরে তীব্র হয়েছে তরজা। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সমিত মণ্ডল জানিয়েছেন, ''এটা তৃণমূলের একটা অংশের চক্রান্ত, যাতে হানিফের অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলে দেয়। যে সিপিআই থেকে জিতেয় তৃণমূলে এনে হানিফকে মুছে দেওয়ার চক্রান্ত।''


অন্যদিকে, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ''উনি আমার কাছে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন। দলের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছি। নিশ্চয়ই দলে কাজের সুযোগ দেব। অন্তর্ঘাতের কোনও বিষয় নেই।''


খড়গপুরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জিতে বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল। কংগ্রেস ও বিজেপি ৬টি করে ওয়ার্ডে জিতেছে। বামেরা দুটি ও নির্দল ১টি ওয়ার্ড দখল করেছে।