অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: খিদিরপুরে জমা জলের সমাধানে পাম্পিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সেখানে তৈরি করা হল বিশাল একটি স্য়াম্প বা কুয়ো। যা কিনা কলকাতায় গভীরতম বলে দাবি। এই পাম্পিং স্টেশন ও বিশাল কুয়োর ফলে, জমা জলের সমস্য়া থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী।
নবাব আলি পার্কে তৈরি হচ্ছে পাম্পিং স্টেশন তার জন্য় তৈরি করা হচ্ছে বিশাল এক সাম্প বা কুয়ো। যা কিনা কলকাতার গভীরতম কুয়ো বলে পুরসভা সূত্রে দাবি। একটা পাঁচতলা বাড়ির যা উচ্চতা, এই কুয়োটির গভীরতাও প্রায় তাই। এই কুয়োর মধ্যেই জমা হবে খিদিরপুরের জমা জল। তা সোজা গিয়ে পড়বে গঙ্গায়।
বর্ষা এলেই ডুবুডুবু অবস্থা হয় খিদিরপুরের। আগে, খিদিরপুরের জল মোমিনপুরে পাঠানো হত... সেখান থেকে তা গিয়ে পড়ত গঙ্গায়। এখন, খিদিরপুরের জল কুয়োর জমা হয়ে, সেখান থেকে পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে সোজা গিয়ে গঙ্গায় পড়বে। এই পাম্পিং স্টেশন ও বিশাল এই কুয়োর ফলে, জমা জলের সমস্য়া থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী।
জঞ্জাল থেকে নির্মাণের উপাদান: উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জানানো হয়েছিল যন্ত্রের গুণে নির্মাণের উপাদান হয়ে উঠবে জঞ্জাল! রাজারহাটে এমনই এক প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছে। কলকাতা পুরসভা যন্ত্রের গুণে আবার ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে জঞ্জাল (Garbage)! রাজারহাটে (Rajarhat) এমনই এক প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। বরাত দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদের এক কোম্পানিকে।
জঞ্জালই হয়ে উঠবে নির্মাণের উপাদান। এমনই এক প্রজেক্ট চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। রাজারহাটে রয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি জমি। সেই ২০ একরের মধ্যে, ৫ একর জায়গায় একটি প্রকল্প চালু করছে KMC। পোশাকি নাম construction & Demolition Materials Recycling Project। অর্থাত্, বাড়ি তৈরির সময় যে কংক্রিটের জঞ্জাল বের হয়, তা-ই আবার পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হবে। হায়দরাবাদের একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। যাঁরা কংক্রিটের জঞ্জালকে টুকরো টুকরো করে, ফের তা দিয়ে তৈরি করবে, এক ধরণের বালি, পেভার ব্লক।
কাজ শুরু
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্রাশার মেশিন বসে গেছে। কাজও শুরু করে দিয়েছে সেগুলি। এক নির্মাণ ভেঙে আবর্জনা। আবার তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী। যন্ত্রের গুণে আবার ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে এত্তা জঞ্জাল।
গত এপ্রিলে কলকাতা পুরসভার একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র তরজা হয়েছিল। ব্যয় সঙ্কোচে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) একাধিক পদক্ষেপ করেছে। অথচ সেই পুরসভাই প্রত্যেক মেয়র পারিষদকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘাটতি বাজেটের এই সময়ে পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের (TMC) যুক্তি, ট্যাব দিলে কালি কাগজের খরচ কমবে।