করুণময় সিংহ, মালদা: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক মহিলা ও তার কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়েকে মারধরের অভিযোগ। রতুয়া থানার পশ্চিম রুকুন্দীপুর গ্রামের ঘটনা। ওই মহিলা ও তাঁর দুই মেয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।  স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে থেকে পেশায় আশা কর্মী শাহনাজ পারভিনের সঙ্গে ৫ কাঠা জায়গা নিয়ে বিবাদ চলছে তার দেওর মীর আইয়ুব আলীর সাথে। শাহনাজ পারভিনের অভিযোগ স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁদেরকে বাড়ি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে তার দেওর। গতকাল সন্ধের সময় তাঁর দেওর এবং তাঁর ছেলেরা তাদের গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করায় দেওর এবং তাঁর ছেলেরা বাস লাঠি দিয়ে মারধর করে তাদের তিন মা-মেয়েকে। তিনজনই আহত অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে রতুয়া থানার। মীর একলাখ  নামে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।


এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে একটি ঘটনায় স্কুল থেকে ফেরার পথে মারা গেল এক ছাত্র। পরীক্ষার পরে বাড়ি যাওয়ার পথে মাথা ঘুরে পড়ে যায় উৎসব। জ্ঞান হারিয়ে যায় তার। তড়িঘড়ি তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা উৎসবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উৎসবের বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী একটি বেসরকারি কারখানায় চাকরি করেন। দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা।  ঘটনার খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি উৎসবের মা ও দাদু। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার ধীমান মণ্ডল জানিয়েছেন, ''২-৩ জন চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে দেখেছেন, তাঁরাও বুঝতে পারছেন না কী হয়েছে, ময়নাতদন্ত করলে কারণ জানা যাবে। অতীতে কোনও কেস হিস্ট্রি পাইনি।''


সপ্তাহের প্রথম দিন, সঙ্গে পরীক্ষা। অন্যান্যদিনের তুলনায় এদিন একটু সকাল সকালই উঠে পড়েছিল উৎসব। কিন্তু স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরোতেই ঘটে গেল অঘটন। মৃতের দাদু বলছেন, ''কী হয়েছিল বলতে পারব না, খবর পেয়ে দৌড়ে এসেছি, এসে শুনছি মারা গেছে, পড়াশুনোয় ভালো ছিল।'' বিধাননগরের বাসিন্দা উৎসব চক্রবর্তী দুর্গাপুর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পড়ুয়া।  পরীক্ষার জন্য মানসিক চাপ? নাকি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল উৎসব? মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে চিকিৎসকরাও। ঘটনায় মন্তব্য করতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্বপ্ন ছিল ভবিষ্যতে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশুনো। খবরটা পাওয়ার পর থেকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা। ভর্তি হাসপাতালে। মেধাবী, প্রাণোচ্ছ্বল ছেলেটার মৃত্যু মেনে নিয়ে পারছেন না কেউই। 


আরও পড়ুন: ঘাসফুল, ঘড়ি কিংবা হাত, প্রতীক বদলালেও আটকায়নি জয়, ষষ্ঠবার পুরভোটের ময়দানে জোর প্রচারে মালা রায়