করুণাময় সিংহ, মালদা: ১০ বছরের পুরনো মামলায় গ্রেফতার মালদার বিজেপি নেতা। এই বিজেপি নেতার নাম কাজল গোস্বামী। তাঁকে আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার দাবি, যে মামলার কোনও অস্তিত্ব নেই, সেই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরভোটের আগে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে।
আইন আইনের পথে চলবে প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতৃত্বের।
অন্যদিকে, বাজার দখল করে বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা করছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর ছেলে বাবু বক্সী। এমন অভিযোগ ঘিরে গতকাল দিনভর সরগরম রইল মালদার রতুয়ার হাটখোলা এলাকা। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরোধ করা হল রাজ্য সড়ক। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রতুয়া হাটখোলা বাজার সমিতির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, ‘জমি নিয়ে লড়াই করে আজকে একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁকে আমি স্যালুট জানাই। যেখানেই থাকি না কেন, আমি উনাকে শ্রদ্ধা করি। উনি শুনবেন আমার কথা? আজকে এত এত জনের পেটে লাথি মারছে। কীসের জন্য? রহিম বক্সীর ছেলে বাবু বক্সীর কী রয়েছে এখানে রতুয়ায়?’
হাটখোলা বাজার সমিতির সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, জেলা তৃণমূল সভাপতির ছেলে সরকারি জমি দখল করে সেখানে ফ্ল্যাট ও মার্কেট কমপ্রেক্স তৈরি করতে চাইছেন। তার জন্য হাটে ব্যবসা করতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা চলছে।
এই অভিযোগ সামনে আসতেই দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্তর কটাক্ষ, ‘এটাই তৃণমূলের কালচার। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকারি জমি ও অন্যের জমি লুঠ করছে, দখল করছে। এর বিরুদ্ধে মানুষের অবরোধকে সমর্থন করছি।’
তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী অবশ্য দাবি করেছেন, ‘আমাদের জায়গা নয়। আমরা যুক্তও নই। ছেলের শ্বশুরবাড়ির জায়গা। ওরা বুঝবে। কলুষিত করার জন্য রাজনৈতিক চক্রান্ত।’
এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মূল অভিযুক্ত তৃণমূল জেলা সভাপতির ছেলে।