অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election ) প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) কোন্দল। হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur) তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের সামনেই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ। ধাক্কাধাক্কি। কাটমানির (Cutmoney) বিনিময়ে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ঠিক হয়। কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। দল বড় হয়েছে তাই প্রার্থী হিসেবে একাধিক জনের নাম উঠে আসতেই পারে। পাল্টা দাবি তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের। 


টাকার বিনিময়ে পদ 'বিক্রি': প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলে (TMC) 'কোন্দল'। টাকার বিনিময়ে পদ 'বিক্রি'! হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থেকে গাজোল...পঞ্চায়েত ভোটের আগে, মালদায় প্রকাশ্য়ে চলে এল তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল। কোথাও টাকার বিনিময়ে প্রার্থী বাছাইয়ের অভিযোগ উঠল। কোথাও আবার টাকার বিনিময়ে উঠল দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ। শুক্রবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের থানাপাড়ায়, তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির বৈঠকে তুলকালাম বাধে। জেলা নেতৃত্বের সামনেই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্য়ে ব্য়াপক হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি হয়। 


তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে, পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বাসন্তী দাস ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাগর দাসের নাম। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই নিয়েই বিবাদ। একপক্ষ দাবি করে, বাসন্তী দাসকেই প্রার্থী করতে হবে। অন্য়দিকে, সাগর দাসকে প্রার্থী করার দাবি তোলে তাঁর অনুগামীরা। 


এর পরই দু-পক্ষের মধ্য়ে ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি বেধে যায়। নেতৃত্বের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে দুই পক্ষ। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল কর্মী যতীন মণ্ডলে কথায়, আমরা প্রার্থী হিসেবে শুধুমাত্র বাসন্তী দাস কে চাই। এখানে আর অন্য কারো নাম পাঠানোর দরকার নেই। শুধু বাসন্তী দাসের নাম যাবে। আমরা নেতৃত্বের কাছে সেটাই দাবি জানাচ্ছি।


মালদা জেলা কমিটির বিজেপি সদস্য় কিষাণ কেডিয়ার কথায়, এখানে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হচ্ছে। এদের কাটমানি দিয়ে প্রার্থী হতে হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত বলছেন, এখানে কোনরকম বিক্ষোভ বা ধাক্কাধাক্কি হয়নি। দল অনেক বড় হয়েছে তাই একাধিক প্রার্থীর নাম উঠে আসছে। এটা আমরা আলোচনা করে ঠিক করব। বিরোধীরা এখানে প্রার্থী খুঁজে পাবে না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে, প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে না তো? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন: Recruitment Corruption: 'যোগ্যদের চাকরি ছিনিয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা কীভাবে সাক্ষী দেবে', প্রশ্ন বিচারকের