বাঁকুড়া: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ২ থেকে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তারা পশ্চিমবঙ্গে ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, সেখানে লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভোট শতাংশ বেড়ে হয় প্রায় ৪১ শতাংশ।

এরপর থেকে বারবার একটাই প্রশ্ন উঠেছে, বামেদের ভোট বিজেপিতে যাওয়াতেই কি গেরুয়া শিবিরের এই বিপুল ভোটবৃদ্ধি? আর এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন ,গত লোকসভা ভোটে সিপিএমের অনেকে বিজেপিতে যোগ না দিয়েও আমাদের সাহায্য করেন। এবার তাদের দলে টানার চেষ্টা করতে হবে।

তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, অবশেষে বুদ্ধি খুলেছে। বুঝেছে যে লোকসভা ভোটে নিজেদের ভোটে জেতেনি।

অন্যদিকে,   একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ করেছে সিপিএম।



সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বামপন্থীরা আদর্শে বিশ্বাসী। নানা দলকে ভাঙলেও বামেদের যে ভাঙা যাবে না, তা বুঝতে পেরেছে ওরা।

সূত্রের দাবি, বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অমিত শাহ এদিন বলেন, অন্য দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যেতে হবে। অন্য দলের সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করতে হবে।

কেন্দ্র কী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, রাজ্য কী দিচ্ছে না, তা সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।

অমিত শাহ যখন একের পর এক কর্মসূচি করে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিচ্ছেন, তখন করোনা আবহে এই কর্মসূচি নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কেউ কেউ অতিমারির নিয়ম মানছে না। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ম মানছেন না।

সব মিলিয়ে অমিতের শাহের রাজ্য সফরের মধ্যে বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ চরমে।