সমীরণ পাল, পানিহাটি (উত্তর ২৪ পরগনা) : এ যেন, ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল। ছিল কোচিং সেন্টার। দিনে দুপুরে হয়ে গেল তৃণমূলের পার্টি অফিস। কোচিং সেন্টারের ভোলবদলের এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই কোচিং সেন্টার আগে ছিল এক চিকিত্‍সকের চেম্বার। চিকিত্‍সকের মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু শম্ভুনাথ ঘোষ এই ঘরে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। 


ঠিক কী অভিযোগ


সোমবার দুপুরে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত যুব তৃণমূল নেতা দেবাশিস লোধ দলবল নিয়ে গিয়ে, কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ। কোচিং সেন্টারকে বদলে ফেলা হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। টাঙিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা। এই সব যখন ঘটছে, তখন এলাকারই এক বাসিন্দা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন যুব তৃণমূল নেতা।  


দুই কাউন্সিলরের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে


পাড়ায় এই খবর চাউর হতে ঘোলা থানার পুলিশকে নিয়ে পরে ঘটনাস্থলে যান পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায়। তিনি তালা খুলে কোচিং সেন্টার আবার ফিরিয়ে দেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর যখন পরোক্ষে যুব তৃণমূল নেতার কাজকেই সমর্থন করছেন, তখন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঘটনার নিন্দা করছেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিমাংশু দেব বলেছেন, 'ওটা ফাঁকা পড়ে ছিল। ওরা পার্টি অফিস করবে বলে নেয় তাই।' অন্যদিকে, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায় বলেছেন, 'এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোচিং সেন্টার চলছিল। যা হয়েছে, ঠিক হয়নি।'


কোচিং সেন্টারে তালা ঝোলানো ও স্থানীয় বাসিন্দাকে মারধরের অভিযোগে যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে ঘোলা থানায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা দেবাশিস লোধ পলাতক। 


আরও পড়ুন- 'আমি বলি ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও' হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর