ধূপগুড়ি: জোর করে মদ্যপান করিয়ে কিশোরীর আপত্তিকর ছবি তুলে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
প্রথম জোর করে মদ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ, এরপর চলে মারধর, নির্যাতন। পরে বিবস্ত্র করে ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দেওয়া। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।
ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগড়ির খলাইগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে যাতায়াত ছিল কিশোরীর। তার বাবা ও মা সাফাইকর্মী। পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ফাই ফরমাশ খাটত কিশোরী।
কিশোরীর অভিযোগ, একদিন দুপুরে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তার আপত্তিকর ভিডিও তোলার চেষ্টা করেন। প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যা আপত্তি করলেও পরে স্বামীর পক্ষ নেন। জোর করে মদ খাইয়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিও দেখে সন্দেহ হওয়ায় কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ দায়ের হয় ধূপগুড়ি থানায়।
আবু বক্কর সিদ্দিকী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, বেহুঁশ করে নগ্ন ছবি তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামী জড়িত। পাঁচ দিন পর আমরা জানতে পারি।এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইন বলে কিছু নেই। এই ঘটনা তার প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, তার পরেও মেয়েদের ওপর অত্যাচার। তৃণমূলেরই লোকেরাই এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকে। খেজুরিতে এক মেয়ের ওপর এরকম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। লাইনটা পুরো রাখতে হবে যা বলেছে।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানিয়েছেন, ঘটনাটা দলগতভাবে আমায় বলা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলব। ওঁকে দল থেকে বার করে দেওয়া হবে। হাই কম্যান্ডকে বিষয়টা জানাব।' বিপদে-আপদে পাশে থাকার কথা যে জনপ্রতিনিধির, তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁর চান অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি।