কমলকৃষ্ণ দে, রায়না (পূর্ব বর্ধমান) : বর্ধমানের রায়নায় (Raina) চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও তাঁর বাবা (TMC Worker and His Father Shot)। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ পরিবারের।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে রক্তপাত !


গত রাতে রায়নার সুপুর বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মৃগাঙ্গ সিং এবং তাঁর বাবা বাদল সিং। এই মুহূর্তে তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃগাঙ্কর পরিবার ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, গতকাল দুপুর থেকে ঘটনার সূত্রপাত। বর্ধমান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মৃগাঙ্কবাবু। সেইসময় এলাকার কয়েকজন যুবক তাঁর রাস্তা আটকায়। বাইক থেকে ফেলে তাঁকে মারধর করে। এরপর মৃগাঙ্কবাবুকে রায়না হাসপাতালে চিকিৎসকার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করুন। 


পরে রাতে সাড়ে ৯টা নাগাদ রায়নার সুকুর বাজার এলাকায় ওষুধ কিনতে আসছিলেন মৃগাঙ্কবাবু ও তাঁর বাবা। অভিযোগ, সেই সময় বাজার এলাকায় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ৬ রাউন্ড পর্যন্ত গুলি চলে। দু'জনের পায়ে গুলি লাগে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।


স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, আক্রান্ত ও হামলাকারী দু’পক্ষই তৃণমূলের। বিধায়ক শম্পা ধাড়া ও ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদের জেরেই হামলার অভিযোগ।


গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর দাবি, অভিযুক্তরা আগে বিজেপি করলেও, এখন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে।


হামলা-যোগ অস্বীকার করে গোটাটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় একাংশের অভিযোগ, এলাকা দখকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই রক্তপাত। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ রায়না (raina) থানা থেকে গ্রেফতার করা হয় (arrest) ২ দুষ্কৃতীকে। উদ্ধার করা হয় একটি পাইপগান ও ২ রাউন্ড গুলি। রায়নার বাঁধগাছা কালিতলা মোড় এলাকা থেকে ওই ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে রায়না থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত দুজনের নাম নাসির দেওয়ান ও সজল বাগ। দুজনেরই বাড়ি রায়নার জোৎসাদী গ্রামে। 


আরও পড়ুন ; সাজা ঘোষণার পর এজলাস থেকেই চম্পট দিয়েছিল ধর্ষণের আসামী, অবশেষে আত্মসমর্পণ