বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে ক্ষুদিরাম মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে চরম উত্তেজনা। বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তমলুক টোল প্লাজার সামনেও বিজেপির মিছিল রুখল পুলিশ। তাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশকে ঘিরে ধরে উঠল 'হায়, হায়' এবং 'জয় শ্রী রাম' রব। পুলিশকে ঘিরে ধরে কার্যত বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। 'পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো', এমন রবও শোনা যায়।
রাজ্যের হাই প্রোফাইল বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে নন্দীগ্রাম অন্যতম। গত বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে মুখোমুখি টক্কর হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। তাতে শেষমেশ শুভেন্দুই বিজয়ী ঘোষিত হন। যদিও ফলাফল সংক্রান্ত মামলা আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
এই নন্দীগ্রাম থেকেও মঙ্গলবার 'চোর ধরো, জেল ভরো' রব তুলে নবান্নে অভিযানে রওনা দেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু ট্রেকারে টেপে যখন এগোচ্ছিলেন তাঁরা, সেই সময় নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর রাস্তায় ট্রেকার আটকে দেয় পুলিশ। তাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বিজেপি-র দাবি, পুলিশ তাদের এগোতে বাধা দিচ্ছে।
বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকার বলেন, "আমাদের যতগুলি বাস বুক করা হয়েছিল, সবগুলির লাইসেন্স বাতিল হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাতে বাতিল করা হয় বুকিং।"
আবার হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকেও পুলিশ আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ। তমলুকে সোনাপোতা টোল প্লাজাতেও একই ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
একের পর এক দুুর্নীতির অভিযোগে যখন বিদ্ধ শাসকদলের একাধিক নেতা, সেই সময় 'চোর ধরো, জেল ভরো' রব তুলে নবান্ন অভিযানে নেমেছে বিজেপি। মঙ্গলবার তিন দিক থেকে নবান্ন ঘেরার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তার জন্য গত কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি মিছিল চলছিল জেলায় জেলায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে এগোতে থাকেন বিজেপি নেতারা। তবে পদে পদে তাঁরা বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের।