কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে স্কুলে পঠনপাঠন আপাতত বন্ধ করা হলেও, শিক্ষকরা চাইলে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন। দিতে পারবেন স্কুল অ্যাক্টিভিটিজ নিয়ে পরামর্শ। স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন হবে অনলাইনে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চ শিক্ষা দফতর। 


দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সবে স্কুলে চালু হয়েছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি ক্লাস । কিন্তু, ফের করোনার দাপটে সোমবার থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফলাইন ক্লাস বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বার্থে কয়েকদফা নির্দেশিকা জারি করে আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চ শিক্ষা দফতর। 


তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত পঠনপাঠন চলবে অনলাইনে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাও হবে অনলাইনে।  


স্কুল শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের শিক্ষকরা চাইলে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পড়াশোনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন এবং গাইড করতে পারবেন। 


আর বিজ্ঞপ্তির এই অংশটি নিয়েই শিক্ষক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য যদি হয় কোভিড আটকানো, শিক্ষকরা কী করে পাড়ায় পাড়ায় ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি যাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেল।


যদিও সরকারি সূত্রে দাবি, এটা শিক্ষকদের সদিচ্ছার ওপরেই ছাড়া হয়েছে, যেহেতু প্রান্তিক পডুয়ারা বঞ্চিত হবে ক্লাস বন্ধ হলে। তাই এই উদ্যোগ। তবে স্কুল, কলেজে পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও, প্রশাসনিক কাজের জন্য শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ৫০ শতাংশ হাজিরা বহাল রাখতে বলেছে রাজ্য সরকার। 


সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনে স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগ চালু রাখতে হবে।  পড়ুয়াদের বইখাতা ও মিড ডে মিল সামগ্রী তুলে দিতে হবে তাদের অভিভাবকদের হাতে।


এর পাশাপাশি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের যে কোভিড ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে, সেই কাজে সহায়তা করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে স্কুলশিক্ষকদের কাছে। সার্বিক ভাবে বন্ধ থাকবে হস্টেল। তবে দূরত্ব বা অন্য অনিবার্য কারণে যে সব বিদেশি পড়ুয়া বা অন্য পড়ুয়ারা ফিরতে পারবেন না, তাঁরা হস্টেলে থাকতে পারবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না। করোনা আবহে বদলানো হয়েছে, অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষা ‘সেট’ এর সময়। 


কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, ‘সেট’  হবে  ৯ জানুয়ারি। ১ ঘণ্টা পিছনো হয়েছে পরীক্ষার সময়। প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে সকাল ১০.৩০ থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত। দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।