কলকাতা : রাজ্যে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তিলোত্তমার অবস্থা উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে শহরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসরে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট (Micro Containment) জোন (Zones) করা হয়েছে। আজ একথা জানিয়ে দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।


ফিরহাদ জানান, কোনও আবাসনে ৪-৫ জন আক্রান্ত হলেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তায় হবে স্যানিটাইজেশন। বাজারে মাস্ক ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ। ১০-১৫ তারিখের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।


এদিকে অনেকের মধ্যেই কোভিড-বিধি মেনে চলায় অনীহা দেখা দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, মানুষকে সচেতন করতে পারি, জোর করতে পারি না। আরও জানান, এলাকাভিত্তিক নয়, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হচ্ছে আবাসন বা বাড়ি। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে।


উল্লেখ্য, করোনা, ওমিক্রন আবহে কলকাতায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এনআরএসে ৭০ জন চিকিত্সক-নার্সের করোনা। যার জন্য গোটা হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এনআরএসে ১০ জন ইন্টার্ন ও চিকিত্সক, নার্স মিলিয়ে ৭০ জন করোনা আক্রান্ত।


আরও পড়ুন ; সঙ্কটে স্বাস্থ্য পরিষেবা, এনআরএসে করোনা আক্রান্ত ৭০ চিকিৎসক, নার্স


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি-তে আক্রান্ত ১২ জন চিকিত্সক। ন্যাশনাল মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিত্সক ও চিকিত্সক মিলিয়ে প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা প্রায় ৩৬। যেভাবে চিকিৎসক ও নার্সরা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। 


কলকাতায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা।