কলকাতা: আশঙ্কা মতোই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি বেগে তাণ্ডব চালাল ঝড়। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। মুহূর্তে চারিদিকে লন্ডভন্ড অবস্থা। শুধু বকখালি নটয়, বুলবুলের ভয়াবহতার ছবি ধরা পড়ে কাকদ্বীপেও। একই অবস্থা রাজ্যের সৈকত শহর দিঘাতেও।
শনিবার সকাল থেকেই লাগাতার বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া খারাপ হয় বকখালি, কাকদ্বীপ,  নামখানা ও দিঘা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক ও বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়। বিকেলের পর কলকাতাতেও বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। সন্ধের আগেই ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তা ঘাট। বুলবুলের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহরের কিছু এলাকা।
বালিগঞ্জের কাছে সিসিএফসি-তে গাছ পড়ে ক্লাবের শেফ-এর মৃত্যু হয়। বালিগঞ্জের সানি পার্কের কাছে গাছ ভেঙে পড়ে  গাড়ির ওপর। যদিও ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।  রিজেন্ট পার্কে স্কুটারের ওপর ভেঙে পড়ে গাছ।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য নবান্নে খোলা হয় বিশেষ কন্ট্রোলরুম। শনিবার কন্ট্রোলরুম থেকে পরিস্থিতির খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়। খোলা হয় ৩১৮টি রিলিফ ক্যাম্প। মজুত রাখা হয়েছে ৯৪টি নৌকা। বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৬টি দল। সোমবারও বন্ধ থাকছে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সব সরকারি স্কুল।
বুলবুলের প্রভাব রেল ও বিমান পরিষেবায়। বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বেশ কয়েকটি ট্রেন। ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায়। শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল উড়ান পরিষেবা