কখনও কোলে, কখনও পিঠে। ৩ মাসের ৩ শাবক বেড়ে উঠছে মায়ের স্নেহের পরশে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি খোলা খাকলেও, ভিড় নেই বললেই চলে। তাই আপন মনে খেলে বেড়াচ্ছে শীলা-বিভানের ছানারা। এখন পার্কে মোট বাঘের সংখ্যা ৭। শীলার আগের ২ সন্তান ইকা-রিকার বয়স এখন ২ বছর। গত ১২ অগাস্ট ৩ সন্তান হয়েছে শীলা-বিভানের।
লকডাউনে দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২ অক্টোবর করোনা বিধি মেনে খোলে বেঙ্গল সাফারি। কিন্তু এখনও পর্যটকদের ভিড় তেমন জমেনি। আর এতেই ওদের একেবারে পোয়া বারো। ইকা ও রিকা দুজনেই এখন অনেকটাই বড়। তাদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি হয়েছে পার্ক। সেখানে রয়েছে কাঠের দোলনা। কখনও গাছে উঠে পড়ছে, কখনও আবার গাছের গুঁড়িতে আঁচড় মারছে। সেভাবে পর্যটক নেই দিনভর, ইকা-রিকাও ছুটির মেজাজে।
ইকা-রিকা একটু বড় বলে ৩ খুদেকে রাখা হয়েছে তাদের কাছ থেকে আলাদা করে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ বলছেন, ‘বাচ্চারা বড় হচ্ছে, ৩ মাস বয়স, তিনটিই পুরুষ বাঘ। এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করতে পারে। তাই খাঁচা করা হয়েছে।’
আপাতত ভিড় না থাকলেও, ধীরে ধীরে ভিড় বাড়বে বলেই আশা করছে বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ। তখন শীলা-বিভানের ছানাদের দস্যিপনা উপভোগ করবেন পর্যটকরা।