শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোসাবা বিধানসভার রাধানগর, তারানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের  দক্ষিণ রাধানগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা। দুজন নার্সিং স্টাফ ও একজন গ্রুপ ডি , একজন ডাক্তার ও একজন ফার্মাসিস্ট  নিয়েই এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে। মাসে একবার চিকিৎসকের দেখা মেলা ভার। গ্রুপ-ডি ও নার্সিং স্টাফরা স্বাস্থ্য পরিষেবা চালাচ্ছেন।


স্থানীয় মানুষরা যখনই কোনো শারীরিক সমস্যার নিয়ে আসছেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা শুধু মাত্র মুখের কথা  শুনে ওষুধ দিচ্ছেন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই । আর এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগ। বছর দশেক আগে পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর ও আউটডোর ব্যবস্থা ছিল। কোন এক অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।


স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধির  দ্বারস্থ হলেও এখনো বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। এই বেহাল দশা নিয়ে  দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তি সাধন মাইতি জানান, ''ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যিনি ডক্টর আছেন অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন। আমি BMOH গোসাবা কে বলেছি যাহাতে আপাতত ওই হাসপাতালে একটি চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা যায় তাঁর ব্যবস্থা করতে। এবং ওই হাসপাতালে পরিকাঠামো ঠিক করার জন্য ইতি মধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।''


এদিকে রাজ্যের অন্য একটি প্রান্তে, নদিয়ায়  (Nadia) মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল ১৭ জনের। আহত আরও বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি শববাহী গাড়ি। পাথর বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারায় ৬ মহিলা, এক শিশু-সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। নদিয়ার হাঁসখালির এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও শুভেন্দু অধিকারী।  মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, নদিয়ার দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত। মৃতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।...পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। দুঃখজনক পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পাশে আছি।