রাজীব চৌধুরী, মূর্শিদাবাদ: কান্দি থানার অন্তর্গত গাঁতলা গ্রামে সকাল আটটার সময় মহিলার বাবার বাড়িতে ওই মহিলা এবং তার দুই শিশু কন্যা ঘরের মধ্যে শুয়েছিল। সে সময় আগুনে পুড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। পরিবার সুত্রে জানা গেছে গাঁতলা গ্রামের দয়াল ঘোষের মেয়ে লক্ষ্মী ঘোষের গত পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল, নবগ্রাম থানার অন্তর্গত ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীরবল ঘোষের সঙ্গে। গত দু বছর আগে শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য, বিবাদের কারণে লক্ষী ঘোষ দুই মেয়েকে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকত। মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেভাবে মিমাংসা না হওয়ার ফলে দুই মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তা মধ্যেই দিন কাটাতেন লক্ষ্মী ঘোষ।
প্রতক্ষদর্শী বৃন্দাবন সাহা জানান আজ সকাল আটটা নাগাদ বাড়িতে কেউ ছিল না, সেই সময় বাড়িতে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে পাড়া প্রতিবেশীর চিৎকার শুনে আমরা কয়েকজন মিলে এসে দেখি দরজা লাগানো, দরজা ভেঙে দেখি লক্ষ্মী ঘোষ (২২) ও তাঁর দুই মেয়ে আগুনে পুড়ে মরে পড়ে আছে। বড়ো মেয়ে চাঁদনি ঘোষ (৫), ছোট্ট মেয়ে ইতু ঘোষ (৩) এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছাড়া। ঘটনাস্থলে কান্দি থানার পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, অন্য একটি ঘটনায়, ঝাড়খন্ড (Jharkhnad) লাগোয়া সীমান্ত থেকে রাজ্যের শেষপ্রান্ত নামখানা বকখালি (Bakkhali) সমুদ্র সৈকত চলে এসেছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন (Mentally Unstable) এক মহিলা। তারপর মাঝে কেটে গিয়েছে ৩৭ বছর। বকখালি সমুদ্র সৈকতই (Bakkhali sea beach) ছিল ভবঘুরে ওই মহিলার আস্তানা। অবশেষে নিজের পরিবারের কাছে ফিরলেন ভবানী বাউরি।
জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া (Purulia) ঝাড়খন্ড লাগোয়া সীমান্তে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভবানী বাউরি প্রায় ৩৭ বছর আগে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নামখানাতে এসেছিলেন। নিজের বাড়ি কোথায়, পরিবারে কারা রয়েছেন কোনও কিছুই বলতে পারেননি তিনি।