হিন্দোল দে, কলকাতা: দুষ্কৃতীদের (Criminal) পাকড়াও করা যাঁদের কাজ, সেই পুলিশের (Police) ঘরেই কিনা হানা দিল চোর! যা ঘিরে তোলপাড় পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরের (Baruipur) কালীনগর গ্রামে। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক (Traffic) বিভাগের অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার দেবাশিস ঘোষের বাড়ি ও শিব মন্দিরে চুরির ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকায়।


পুলিশ কর্তার এই বাড়িটি বেশিরভাগ সময় ফাঁকাই পড়ে থাকে। রবিবার সকালে দেখা যায় শিব মন্দিরের তালা ভাঙা। অভিযোগ, সেখান থেকে লক্ষাধিক টাকার রুপোর গয়না ও পুজোর সামগ্রী চুরি হয়েছে। এরপর দেখা যায়, বাড়িতে ঢোকার মূল ফটক ও দোতলা বাড়ির ওপরের ঘরের তালাও ভাঙা। লুঠপাট চলে এখানেও।


কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার দেবাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আলমারি ভেঙে ৮ হাজার লুঠ, সিসিটিভি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়।’


বারুইপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


আরও পড়ুন মধ্যরাতে গৃহস্থের হাত-পা বেঁধে, ভয় দেখিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি হরিপালে, আতঙ্কে এলাকাবাসী


কিছুদিন আগেই মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকায় এক রাতে পাঁচ বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকুয়াহাট পঞ্চায়েতের থিনগর ও সালালপুর এলাকায়। জানা যায়, থিনগর এলাকার সন্তু তপাদার, প্রসেনজিৎ ভক্ত ও সালালপুর এলাকার সনাতন মণ্ডল, সনদ হেমব্রম ও নমিতা হাজদার বাড়িতে গভীর রাতে দুঃসাহসিক চুরি হয়। প্রত্যেকের বাড়িতেই তালা লাগানো ছিল। বাড়ির সদস্যরা কেউ বাইরে কেউ বা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে চুরি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।


প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বামনগোলা থানায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রত্যেকেরই বাড়ি থেকে সোনার অলংকার সহ নগদ টাকা খোয়া গেছে বলে দাবি।