সোমনাথ মিত্র, হুগলি: আবারও রাতের অন্ধকারে দুঃসাহসিক ডাকাতি (Dacoity)। হরিপাল থানার ইলিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপতিপুর গ্রামের ঘটনা। গতকাল রাতে সেখানের দুটি বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। প্রথমে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে ডাকাতেরা। এরপর গৃহস্থদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। তারপর তাঁদের বেঁধে রেখে লুঠপাঠ চালায় পাঁচ জনের ডাকাত দল। ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


পরিবার সূত্রে জানা গেছে , গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাত ১২টার পরেই পাঁচ জনের ডাকাতদল আচমকা হানা দেয় সঞ্জয় ঘোষের বাড়িতে। বাইরের গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দরজা ভেঙে ফেলে দুস্কৃতীরা। এরপর তারা বাড়ির লোকজনকে মারধর করে এবং সকলকে বেঁধে রেখে চালায় লুঠপাট। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। ডাকাতদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র, অভিযোগ এমনটাই। প্রায় ১ ঘণ্টা লুঠপাট চালিয়ে রাত ১টা নাগাদ সঞ্জয় ঘোষের ভাই রঙ্গনের বাড়িতে ঢোকে ডাকাত দল। সেখানেও গ্রিলের  তালা ভেঙে, ঘরের দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পর, লক ভেঙে তারা ভিতরে ঢুকে যায়। সেখানেও মারধর করে ভয় দেখিয়ে সবাইকে বেঁধে প্রায় ১ ঘণ্টা লুঠপাট চালিয়ে প্রায় ২টো নাগাদ চম্পট দেয় ডাকাত দল। আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় ৩টে নাগাদ প্রতিবেশীদের ফোন করার শক্তি পান পরিবারের সদস্যরা। সব শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে। সকালে ঘটনাস্থলে আসেন হরিপাল থানার পুলিশ। 


পরিবারের লোকজনের দাবি সব দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল কাপড়ে। শুধু চোখ গুলো দেখা যাচ্ছিল পাঁচ জনের। লোহার রড, ধারালো কাটারি, ভোজালি জাতীয় অস্ত্র ছিল ডাকাতদের হাতে। তবে কী ভাষায় তারা কথা বলছিল তা স্পষ্ট বুঝতে পারেননি নির্যাতিত বাড়ির লোকজনেরা। দুই ভাইয়ের বাড়ি থেকে আনুমানিক ১৫ ভরি সোনা ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে ডাকাতরা, জানিয়েছেন বাড়ির সদস‍্যরা। ঘটনার পর তদন্তে নেমেছে হরিপাল থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Fake News: অন্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চেম্বার চালানোর অভিযোগ, গ্রেফতার ভুয়ো চিকিৎসক