বিটন চক্রবর্তী, তমলুক (পূর্ব মেদিনীপুর): নাম না করে INTTUC-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সভাপতিকে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর দাবি, সংগঠনের জেলা সভাপতি ট্রেড ইউনিয়নের কিছুই বোঝেন না। যা শুনে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা। আর এই ইস্যুতে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। 


মঞ্চে উঠে প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু বলেন, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হল, তারা কোনও দিন ভাল করে ট্রেড ইউনিয়ন করেনি, বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠন করত, ও হলদিয়ার মতো আধুনিক কল কারখানার কোন বিষয় বুঝবে! কোনও বিষয় বুঝবে না। 


তৃণমূলের কিষাণ ও খেতমজুর সংগঠনের মঞ্চ থেকে, দলেরই শ্রমিক সংগঠনের জেলা কমিটি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
নাম না করে তমলুক সাংগঠনিক জেলার INTTUC-র সভাপতি শিবনাথ সরকারকে আক্রমণও করলেন তিনি। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে ছিল তৃণমূলের কিষাণ ও খেতমজুর সংগঠনের জেলা সম্মেলন।


সেই সম্মেলনে যোগ দিয়ে, INTTUC-র জেলা কমিটি নিয়ে তোপ দাগেন পূর্ণেন্দু বসু। যদিও এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ INTTUC-র তমলুক জেলা সভাপতি। আইএনটিটিইউসি এর তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, শিবনাথ সরকারের পাল্টা বক্তব্য, 'কে কী বলল তা আমি জানি না, আমি দীর্ঘদিন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত'।


নাম না করে INTTUC-র জেলা সভাপতিকে নিশানা পূর্ণেন্দু বসুর। শাসক দলকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের। গত ১৮ জানুয়ারি হলদিয়ায় এক্সাইড কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায়, গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মাইতি ও হলদিয়ায় INTTUC-র বিশেষ পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


এরপরই তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে শিবনাথ সরকারের নাম ঘোষণা করেন মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১২ মার্চ নতুন জেলা কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটিতে থাকা নেতাদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন পূর্ণেন্দু বসু।